পুজোর পর মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক

নবান্ন। ফাইল চিত্র

দুর্গাপুজো শেষ। সোমবার থেকেই খুলেছে রাজ্যের সরকারি দফতরগুলি। সোমবারই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নবান্ন জানিয়ে দিল, আগামী বৃহস্পতিবারই বসছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাধারণত মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব উপস্থিত থাকেন। তবে এবারের বৈঠক একটু হলেও আলাদা। কারণ এই বৈঠকে রাজ্যের কয়েকটি দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মূলত ১৫ দিন অন্তর অন্তর মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। বিশেষ ক্ষেত্রে কখনও কখনও সাত দিনের ব্যবধানেও এই বৈঠক ডাকা হয়ে থাকে। এবার দুর্গাপুজোর ১৫ দিনের লম্বা ছুটির পর প্রথমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক হতে চলেছে নবান্নে। আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনকে সামনে রেখে এই বৈঠক যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
আগামী ১৩ নভেম্বর বাংলার বিধানসভা উপনির্বাচন। নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালডাংরা, সিতাই এবং মাদারিহাট-এই ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। দলের অন্দরে ভোটের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। এই আবহে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

সোমবার জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ, বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীদের পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবও। পাশাপাশি অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র এবং পার্বত্য বিষয়ক দফতরের প্রধান সচিব, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতরের সচিব এবং আধিকারিকদেরও মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।