নৈহাটির তৃণমূল কর্মী খুনে একজন গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম অক্ষয় গণ। অক্ষয়কে হেফাজতে নিয়ে টানা জেরা করে খুনের বিষয় আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে আশা করছেন তদন্তকারীরা। আরও চার জনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। শুক্রবার দুপুরে নৈহাটির গৌরীপুর এলাকায় খুন হন তৃণমূল কর্মী সন্তোষ যাদব। তাঁকে থেঁতলানোর পর গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল কর্মী খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারলে সরিয়ে দেওয়া হয়। অলোক রাজোরিয়ার জায়গায় দ্বিতীয় বার ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার হন অজয় ঠাকুর। দায়িত্ব পেয়ে শনিবার রাতেই নৈহাটি থানায় যান পুলিশ কমিশনার অজয়।
তৃণমূল কর্মী সন্তোষ যাদব খুনের তদন্ত কত দূর এগিয়েছে, অভিযুক্তদের কেউ কেন এখনও ধরা পড়েননি, এ নিয়ে জানতে চান নতুন পুলিশ কমিশনার। অজয় ঠাকুর দায়িত্ব নেওয়ার কিছুক্ষণ পরও অক্ষয় গণের গ্রেপ্তারির খবর মিলেছে। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া। তিনি জানান, অত্যন্ত নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় সন্তোষ যাদবকে। গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি। যদিও স্থানীয় বিধায়ক জানান, গুলি চলেছিল। অন্যদিকে অলোক রাজোরিয়া দাবি করেন, গুলিচালনার ঘটনা ঘটেনি। থেঁতলেই খুন করা হয়েছে। পরস্পর বিরোধী এই মন্তব্যের ফলে জটিলতার সৃষ্টি হয়।
অজয় ঠাকুরকে কারা বিভাগের ডিআইজি হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। আগে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপরাধ)-এর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। কিছু দিন কমিশনারের দায়িত্বও সামলেছেন। ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক অভিযোগ করেন, খুনের নেপথ্যে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংর ঘনিষ্ঠদের হাত রয়েছে। অভিযোগ উড়িয়ে অর্জুন পাল্টা জানান, যে ব্যক্তির নাম করছেন তৃণমূল সাংসদ, তাঁর উপরেই কিছু দিন আগে হামলা হয়।
শুক্রবার দুপুরে গৌরীপুরে টোটো চড়ে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা পথ আটকে খুন করে সন্তোষ যাদব নামে এক তৃণমূল কর্মীকে। বছর চল্লিশের সন্তোষকে প্রথমে ইট দিয়ে থেঁতলানোর পর গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
গৌরীপুর জুটমিল লাইনে বিজেপি কর্মী কানাই সাউয়ের বাড়ি ভাঙচুর হয়। গড়িফার বিজেপি সমর্থক বিকাশ কুমার সিংয়ের এক অনুষ্ঠান বাড়িতে আগুন লাগানো ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। অর্জুন সিংয়ের অন্যতম পার্টি অফিস, সিং ভবনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে এই সিং ভবন থেকেই বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং তাঁর যাবতীয় নির্বাচনী কাজকর্ম চালাতেন।