বিজেপির অনেক বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে নিয়মিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করছেন বলে দাবি করলেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচার সভা থেকে রবিবার এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ফিরহাদ।
রবিবার সন্ধ্যায় তালডাংরা উপনির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহর সমর্থনে ক্ষীরপাই গ্রামে একটি নির্বাচনী প্রচার সভা করেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে ফিরহাদ বলেন, ‘বিধানসভায় বিজেপি ৭৭টি আসন পেয়েছিল। যার মধ্যে অর্ধেক পালিয়ে গিয়েছে। এখন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ৫০-৬০ জন বিধায়ক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তার মধ্যে অনেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন রোজ ৷’ ফিরহাদের দাবি, এই বিধায়করা সরাসরি জানিয়েছেন যে তাঁরা বিজেপিতে থাকতে পারবেন না, কারণ তাঁরা বিজেপির দলীয় পরিবেশে কাজ করতে পারছেন না। পুরমন্ত্রীর সংযোজন, ‘তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এখন দরজা বন্ধ ৷’
এদিন ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন, যেসব বিধায়করা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ। বিরোধীদের কটাক্ষ করে ফিরহাদ বলেন, ‘সিপিআইএম-কংগ্রেস বিজেপির ‘মদতদাতা’ হিসেবে কাজ করছে। কংগ্রেসের দিল্লির নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সঙ্গে আছি’ বললেও এ রাজ্যের ‘ছাগলের তৃতীয় বাচ্চা’রা চেঁচাচ্ছে। যে অধীর নিজের বহরমপুরে জিততে পারেনি, সে নাকি বাংলা সামলাবে।’ ফিরহাদের এমন দাবি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। পদ্ম শিবিরে নতুন করে ভাঙন দেখা যাবে নাকি সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বিজেপির মধ্যে ভাঙন এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগসূত্রের বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের মোট ৬টি বিধানসভায় উপনির্বাচন রয়েছে। নৈহাটি, তালডাংরা, সিতাই, হাড়োয়া, মেদিনীপুর এবং মাদারিহাটে রয়েছে উপনির্বাচন। সেই ভোটের প্রচারে রবিবার দলীয় প্রার্থী ফাল্গুনি সিংহবাবুর সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন ফিরহাদ।