• facebook
  • twitter
Wednesday, 13 November, 2024

শিয়ালদহে এসটিএফের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স সুরেন্দ্রনাথ কলেজ লাগোয়া বৈঠকখানা রোডে তল্লাশি অভিযান চালায়।

শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স সুরেন্দ্রনাথ কলেজ লাগোয়া বৈঠকখানা রোডে তল্লাশি অভিযান চালায়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৯০টি কার্তুজ। মহম্মদ ইসমাইল নাম এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোথা থেকে এই সব আগ্নেয়াস্ত্র এল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। একটি সূত্রের খবর, বিহারের মুঙ্গের থেকেই কলকাতা এসেছিল অস্ত্রগুলি। এই চক্রের পেছনে কারা যুক্ত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

জনবহুল এলাকায় বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, অস্ত্রগুলি পাচারের পরিকল্পনা ছিল ইসমাইলের। পুলিশকে দেখতে পেয়েই দৌড়ানো শুরু করে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে আটক করা হয়। বিহারের বাসিন্দা মহম্মদ ইসমাইল রাজাবাজারে থাকতেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ইসমাইল আসলে ক্রেতা। বিহারের মুঙ্গের থেকে কোনও একজন ব্যক্তি ইসমাইলের হাতে এইসব অস্ত্রশস্ত্র তুলে দেয়। সেই ব্যক্তির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ পুলিশের অনুমান, এখনও কলকাতা চত্বরেই রয়েছে অভিযুক্ত। হাওড়া, শিয়ালদহ এবং বাবুঘাটে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

ইসমাইলের কাছ থেকে দুটি সেভেন এমএম পিস্তল, তিনটি সিঙ্গেল শাটার এবং ৯০টি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ইসমাইল মিডলম্যানের কাজ করতেন। অস্ত্র-গুলি নিজের ডেরাই নিয়ে যাবার কথা ছিল তার। তারপর তা সারা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ত। আপাতত গোটা চক্রকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

গত মাসে বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের মোথাবাড়ির অঞ্চল সভাপতি। মালদহ জেলা আদালত তাঁর ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। তাঁর কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৬টি কার্তুজ উদ্ধার হয়।কী কারণে তৃণমূল নেতা বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।