কলকাতায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। কাঁকুড়গাছির লোহা পট্টিতে বিধ্বংসী আগুন লাগল মধ্যরাতে। রাত দেড়টা নাগাদ একটি গুদামে আগুন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। আশপাশের গুদামগুলিতে প্রচুর পরিমাণ প্লাস্টিক মজুত থাকায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দাহ্য পদার্থের কারণে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভয়ঙ্কর চেহারা নেয়। একে একে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। দমকল কর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারাও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত দেড়টা নাগাদ এলাকার বাসিন্দারা একটি প্লাস্টিকের কারখানা থেকে আগুনের শিখা বের হতে দেখেন। তারাই ফোন করে দমকলে খবর দেন। কারখানার ভিতরে যে কর্মীরা ছিলেন, তাদেরও উদ্ধার করে আনেন স্থানীয় বাসিন্দারাই।
আগুন লাগার খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় পরে আরও ৫টি ইঞ্জিন আসে। এরপর আরও ১০টি ইঞ্জিন নিয়ে আসা হয়। সব মিলিয়ে ২০টি ইঞ্জিন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলেই খবর। দমকল সূত্রে খবর, আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও ঘণ্টা খানেক সময় লাগবে। ঘটনায় এখনও কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। গুদামে কেউ আটকে ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে দমকল ও পুলিশের লোকজন।
কী কারণে আগুন লেগেছে, তা এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি ভাবে এই কারখানাগুলি চলছিল। ওই প্লাস্টিকের কারখানায় কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও ছিল না। দমকল ওই কারখানার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে বলে খবর।
চলতি মাসেই উল্টোডাঙায় প্লাইউডের গুদামে বিধ্বংসী আগুন লাগে। পাশের আরেকটি প্লাইউডের গুদামেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের ৮টি ইঞ্জিন বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। একের পর এক আগুন লাগার ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।