সাত সকালে উত্তর ২৪ পরগনার একটি হাসপাতালে অগ্নিকান্ড। সোমবার হাসনাবাদের ঘোলা গ্রামীণ হাসপাতালে ঘটেছে এই ঘটনা। আচমকা আগুন লেগে যেতেই হাসপাতালের কর্মী ও নার্সদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রোগী ও তাঁদের আত্মীয় পরিজনরা। খবর দেওয়া হয় দমকলে। বসিরহাট থেকে দ্রুত দমকল ছুটে এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয় মানুষজনও। উভয়ের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে হাসপাতালের আউটডোরের দ্বিতীয়তলে আগুন লাগে। দ্রুত সেই আগুন হাসপাতালের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দা ও হাসপাতালের কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে ছুটে আসে দমকল। আনা হয় একটি ইঞ্জিন। ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কী কারণে আগুন লাগলো তা এখনও জানা যায়নি। তবে দমকলকর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। যদিও অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানার জন্য বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত এর আগে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রবিবার দুপুরে হাসপাতালের মেল সার্জিকাল ওয়ার্ডের ওষুধের গোডাউনে এই আগুন লাগে। দমকল ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর জানা যায়, সুইচ বোর্ড থেকে শর্ট সার্কিট থেকে হয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। ফের বসিরহাটের আরও একটি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।