নিজস্ব সংবাদদাতা- মৃতের বিরুদ্ধেই দায়ের হল মামলা৷ অভিযোগ, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের পর সিগন্যাল ফেল করে রাঙাপানির দিকে এগিয়ে গিয়েছিল মালগাড়িটি। তাতেই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা৷ মালগাড়ির চালক ও সহকারি চালকের বিরুদ্ধে নিউ জলপাইগুড়ি জিআরপিতে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ এক যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা নথিভুক্ত হয় বলে জানা গিয়েছে৷ তবে যে দুই জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে মালগাড়ির লোকো পাইলট অনিল কুমারের দুর্ঘটনাস্থলেই মৃতু্য হয়৷ সহকারি চালক এখনও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন৷ প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মালগাড়ির গতিবেগ ছিল ৭৮ কিলোমিটার৷ ইতিমধ্যেই মালগাড়ির এই বেশি গতি নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন৷ তার পাশাপাশি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, মৃত লোকো পাইলটের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর নিয়েও৷
উল্লেখ্য, সোমবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি স্টেশনের কাছে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে পিছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি মালগাড়ি৷ এই দুর্ঘটনার জেরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ৪টি কামরা লাইনচু্যত হয়৷ এই দুর্ঘটনায় মৃতু্য হয়েছে মালগাড়ির চালকের৷ সোমবার বগি কেটে বের করে আনা হয় লোকো পাইলট অনীল কুমারের দেহ৷ তাঁর বিরুদ্ধেই দায়ের হল এফআইআর৷ রেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ৬ বছর বয়সি স্নেহার মৃতু্যর পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৷
সোমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করে সেফটি কমিটি৷ এখনও সামনে আসেনি তদন্তের রিপোর্ট৷ রেলকর্মীদের একাংশে দাবি, রিপোর্ট আসার আগেই তড়িঘড়ি এফআইআর দায়ের করে কার্যত কর্মীদের উপরই দোষ চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে না তো! সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন৷