আসন্ন বিধানসভা ভােটকে কেন্দ্র করে সরগরম পাহাড়ের রাজনীতি। রবিবার পাহাড়ের তিনটি বিধানসভা আসন — দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াংয়ে প্রার্থী ঘােষণা করলেন বিমল গুরুং পন্থীরা।
একুশের নির্বাচনে নিজেদের প্রমাণিত করতে স্থানীয় জনপ্রিয় নেতাদের সামনে রেখেই লড়তে চাইছেন বিমল গুরুং পন্থীরা। যাঁরা পহাড়ের এই তিনটি আসনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন, তারা হলেন, দার্জিলিং-পিটি ওলা। ইনি বিমল গুরুং-এর আমলে জিটিএ সদস্য ছিলেন। বরাবর গুরুংয়ের সমর্থক। কার্শিয়াং-নরবু লালাম। গুরুং পন্থী নেতা। স্থানীয় স্তরে অত্যন্ত জনপ্রিয়। কালিম্পং- রাম ভুজেল। মাের্চার দীর্ঘদিনের সমর্থক। গুরুংয়ের আস্থাভাজন।
মঙ্গলবার পূর্বসূচি অনুযায়ী জনসভা করে এই তিন প্রার্থীর নাম ঘােষণা করেন গুরুং পন্থী গােখা জনমুক্তি মাের্চা। এর আগের রবিবার বিনয় তামাং পন্থীরা ওই তিনটি আসনেই তাঁদের প্রার্থী ঘােষণা করেছিল। তাদের তরফ থেকে যাদেরকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়েছে, তারা হলেন, জনপ্রিয় নেতা শিরিং দাহাল, রুদেন লেপচা প্রমুখ।
তবে দুই শিবিরই মনে করছেন, তারা তৃণমূলের সমর্থন পাবে। কিন্তু তৃণমূলের তরফ থেকে এই বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। মিরিক পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা এলবি রাই জানাচ্ছেন, এ বিষয়ে তাদের কাছেও কোনও তথ্য নেই। এছাড়া পাহাড়ে প্রচারেরও সুযােগ নেই। কারণ তৃণমূল এখানে সরাসরি প্রার্থী দেয়নি।
এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা সৌগত রায় একটি সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, ‘আমরা ২৯১ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। পাহাড়ের তিন আসন আমরা মােৰ্চাদের ছেড়ে দিয়েছি। ওরা কী করবে ওদের ব্যাপার। ভােটে কারা সেখানে জিতবে, তা এখন থেকেই বলা সম্ভব নয়। ভােটের পর আমরা কী করব, সেটাও এখনই বলে দেওয়া যায় না। কারা আমাদের সমর্থন করছে, কারা আমাদের পাশে চাইছে, তা নিয়েও আমরা আলােচনা করছি না। আগে ওখানে কী ফল হয়, আমরা দেখব। যে ২৯১ আসনে আমরা প্রার্থী দিয়েছি, আপাতত তা নিয়ে বেশি চিন্তিত।
অর্থাৎ তৃণমূল যে এখনই কাউকে সমর্থন করছে না, তা মােটামুটি স্পষ্ট। যারা পরবর্তীকালে জিতবেন, তাঁদের সঙ্গেই সমীকরণ তৈরি হতে পারে তৃণমূলের, এটাই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।