পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশন। রাজ্যের শস্যগোলা বলে পরিচিত বর্ধমানে পশ্চিমবঙ্গের অন্নদাতাদের সম্মান জ্ঞাপন করলেন বর্ধমান জেলা রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। যাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত এই ভাবনা তিনি বাইরের কেউ নন। তিনি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মালেক। সেই ভাবনারই বাস্তবায়ন হলো আজ এক অনন্য সুন্দর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। জেলার কৃষক বন্ধুদের সম্মান জানালেন তাঁরা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামা প্রসন্ন লোহার, সহকারী সভাধিপতি গার্গী নাহা, জেলা শাসক আয়েশা রাণী, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মালেক।
‘ওরা মাঠে মাঠে বীজ বোনে, পাকা ধান কাটে’— বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কবিতার লাইন আব্দুল মালেককে বিশেষ ভাবে প্রভাবিত করে। অথচ সমাজে তাঁরা আড়ালেই থেকে যান। আব্দুল মালেকের কথায়, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগেই কৃষকদের কৃষকরত্ন সম্মান প্রদান চালু করেছেন। সেই ভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়ে অন্নদাতার সম্মান জ্ঞাপনের বিষয়টি মাথায় আসে। এ ব্যাপারে অ্যাসোসিয়েশন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে বলেন। তিনি ভাবনার তারিফ করতেই অ্যাসোসিয়েশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংগঠনের সম্পাদক অদ্বৈত খাঁ, কোষাধ্যক্ষ কাঞ্চন সোম সহ বংশী শাম, সুব্রত মণ্ডল ও অন্যান্যরা ঝাঁপিয়ে পড়েন কৃষকবন্ধুদের সম্মান জানাতে। এদিনের অনুষ্ঠানে ১০০ জন কৃষককে সম্মান জ্ঞাপন করা হয়। কৃষকদের হাতে শাল, কম্বল এবং শংসাপত্র তুলে তুলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে দুপুরে রকমারি পদ সাজিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজনে আপ্যায়িত করা হয়।
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, দেশের মধ্যে প্রথম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের সম্মান দিয়েছেন। সেই পথেই এগিয়ে এসে রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশন রাজ্যে প্রথম এই অনুষ্ঠান করে নজির সৃষ্টি করলো। তাঁদের এই উদ্যোগ জেলার প্রতিটি ব্লকে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।