• facebook
  • twitter
Sunday, 16 March, 2025

ভুয়ো ভোটার: জেলা স্তরের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ মমতার

ভুয়ো ভোটার খোঁজার অভিযানে রাজ্যস্তরে ৩৬ জন সদস্যকে নিয়ে গঠিত কোর কমিটির উপরই আপাতত ভরসা রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

ফাইল চিত্র

ভুয়ো ভোটার খোঁজার অভিযানে রাজ্যস্তরে ৩৬ জন সদস্যকে নিয়ে গঠিত কোর কমিটির উপরই আপাতত ভরসা রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই কমিটি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেছিল। এই বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সাংগঠনিক পর্যায়ে জেলা ভিত্তিক কমিটি গড়ে দ্রুত ভোটার তালিকার গরমিলের খোঁজ চালানো হবে। পরে জানা যায়, জেলা ভিত্তিক কমিটি গঠনের বিষয়টি জানতেন না তৃণমূল নেত্রী মমতা। বিষয়টি জানতে পেরে আপাতত এই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখতে বলেছেন তিনি। দলীয় সূত্রে খবর, এখনই জেলায় তৈরি হওয়া কমিটির উপর বিষয়টি ছাড়তে চাইছেন না তিনি৷ এই কারণেই রাজ্য স্তরের কোর কমিটির বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরেও, রাতের দিকে তা স্থগিত করে দেন মমতা৷

উল্লেখ্য, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্মেলন থেকে ভুয়ো ভোটার নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা থেকে ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করার জন্য নিজেই একটি রাজ্য স্তরের কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি বিধানসভা ভিত্তিক বুথ ধরে ধরে ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সম্মেলন থেকে শুধুমাত্র বীরভূমের জন্য অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে পৃথক কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, বাকি জেলা নিয়ে সেভাবে কোনও আলোচনা করেননি।

ভোটার তালিকা যাচাই সম্পর্কিত মমতার নির্দেশের পর ভুয়ো ভোটার খোঁজার কাজে গতি আনতে গত বৃহস্পতিবার সুব্রত বক্সীর নেতৃত্বে বৈঠকে বসেছিল রাজ্য স্তরের কোর কমিটি৷ এই বৈঠক থেকেই প্রতিটি জেলা ভিত্তিক কোর কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি৷ তবে রাতের দিকে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন তৃণমূল নেত্রী৷

দলের একাংশের দাবি, ভুয়ো ভোটার খোঁজার কাজকে আরও সংগটিত রাখতে দলনেত্রী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কাজে অনেক মানুষকে নিযুক্ত করা হলে নেতৃত্ব দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভুয়ো ভোটার সংক্রান্ত বিষয়টি তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণে আপাতত জেলা ভিত্তিক কোর কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যস্তরের কোর কমিটির উপরই ভরসা করতে চাইছেন মমতা।

অপরদিকে সুব্রত বক্সী–ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানিয়েছিলেন, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে লোকসভা এবং বিধানসভার অধিবেশন আছে। কোর কমিটিতে সাংসদ-বিধায়কদের রাখা হলে তাঁরা এই কাজে সেভাবে সময় দিতে পারবেন না। সেই কারণে কাকে কোন কাজে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে তা আগে থেকে ঠিক করে জেলা ভিত্তিক কোর কমিটি পুনর্গঠন করা হবে। দল অনেক সাংসদ এবং বিধায়ককে সাংগঠনিক কাজে বেশি করে ব্যবহার করতে চান। আবার অনেক বিধায়ক ও সাংসদের বিধানসভা ও লোকসভার অধিবেশনে থাকা জরুরি। এই বিষয়টি বিবেচনা করে ফের নতুন করে কমিটি গঠন করা হবে।