• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বাড়ছে অনলাইন জালিয়াতি, নজরে জাল কিউআর কোড

সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় ২০১৫ সালের ১ জুলাই৷ গ্রামীণ অঞ্চলে দ্রুত গতির ইন্টারনেট পেঁৗছে দিতে এবং অনলাইন পরিকাঠামো তৈরি করতে দেশ জুড়ে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ একই সঙ্গে প্রাধান্য দিয়েছিলেন অনলাইন লেনদেনকেও৷ তার পর থেকে ধীরে ধীরে বদল এসেছে দেশের আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থায়৷ লিকুইড মানি বা ক্যাশের পরিবর্তে বাজার দখল করেছে কিউআর কোড৷

সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়

২০১৫ সালের ১ জুলাই৷ গ্রামীণ অঞ্চলে দ্রুত গতির ইন্টারনেট পেঁৗছে দিতে এবং অনলাইন পরিকাঠামো তৈরি করতে দেশ জুড়ে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ একই সঙ্গে প্রাধান্য দিয়েছিলেন অনলাইন লেনদেনকেও৷ তার পর থেকে ধীরে ধীরে বদল এসেছে দেশের আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থায়৷ লিকুইড মানি বা ক্যাশের পরিবর্তে বাজার দখল করেছে কিউআর কোড৷ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় এই নির্ঝঞ্ধাট লেনদেন পদ্ধতি৷

রাস্তার ধারে ছোট্ট চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কের লেনদেন সবই বর্তমানে অনলাইন নির্ভর৷ ক্যাশের বদলে জায়গা করে নিয়েছে কিউআর কোড৷ আর তাতেই বাড়ছে জালিয়াতি৷ বাড়ছে জাল কিউআর কোডের প্রবণতা৷ সাইবারের পরিভাষায় যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কুইশিং’৷ যা একবার স্ক্যান করলেই কেল্লাফতে৷ মুহূর্তের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট৷ সম্প্রতি এই ধরনের জালিয়াতি আগের থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই জানাচ্ছেন সাইবার বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ৷ বস্ত্তত, আমরা যে কিউআর কোড স্ক্যান করি, তার সঙ্গেই যুক্ত থাকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট৷ কোড স্ক্যান করে টাকা পাঠালেই, যা চলে যায় নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে৷ তবে বর্তমানে সাইবার দুস্কৃতীরা তৈরি করেছে ‘কুইশিং’ কোড৷ যা দেখতে হুবহু আসল কিউআর কোডের মতো হলেও, আদতে তা নকল৷ যদিও খালি চোখে চট করে তা দেখে বোঝার উপায় নেই বলেই জানাচ্ছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা৷ সাধারণত স্ক্যান করলে টাকা প্রাপকের নাম, কোন ব্যাঙ্কর অ্যাকাউন্ট সবই সামনে উঠে আসে৷ যা ভালো করে যাচাই করে তবেই টাকা পাঠাতে বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা৷ বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, ‘কিউআর কোড যদি ভালো করে লক্ষ্য করা যায়, তাহলেই তা আসল-নকল বিচার করা সম্ভব৷ কারণ জাল কিউআর কোড আসল কিউআর কোডের থেকে অনেকটাই অস্বচ্ছ হয়৷ তাতে স্ক্যান করলেও আপনি যাকে টাকা পাঠাতে চাইছেন তার নাম ভেসে ওঠে না৷’

তবে শুধু আর্থিক লেনদেন নয়, অনেক সময় কোনও বিশেষ অ্যাপ ডাউনলোডের জন্যও স্ক্যান করতে হয় কিউআর কোড৷ সেক্ষেত্রে জাল বা ‘কুইশিং’ কোড স্ক্যানের মাধ্যমে সকলের অগচরেই ফোনে বাসা বাঁধে ম্যালওয়্যার৷ যার সাহায্যেই ফোনে ওঁত পাতে সাইবার জালিয়াতরা৷ আপনার ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য চলে যায় সাইবার দুস্কৃতীদের হাতে৷ পাশাপাশি, অনেক সময় আর্থিক প্রলোভন দেখিয়েও জাল কিউআর কোড স্ক্যান করতে বলা হয়৷ সেই ফাঁদেই ধরাও দেন অনেকে৷ এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানাচ্ছেন, ‘টাকা পাঠানোর আগে অবশ্যই দোকানের নাম বা মালিকের নাম দেখে নেওয়া উচিত৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাড়াহুড়োর বশেই এই ধরণের ভুল হয়’৷ একই সঙ্গে কোনও ধরণের আর্থিক প্রলোভনে পা না দেওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন সাইবার বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ৷