ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে নৈহাটির বড় মা-র করে টাকা তোলার অভিযোগ। হুগলির রিষড়া থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। বড়মা পুজো কমিটি ট্রাস্টের পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে নৈহাটি থানা ও রিষড়া থানার যৌথ অভিযানে ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়। অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল ও একটি ব্যাঙ্কের পাস বই উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সারা দেশজুড়ে খ্যাতি ছড়িয়েছে বড় মা-র। একশো বছর পুরনো মন্দিরের লক্ষ লক্ষ ভক্তের কথা মাথায় রেখে অ্যাপ শুরু করেছিল কর্তৃপক্ষ। ওই অ্যাপের মাধ্যমে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। এরই মধ্যে বড় মা পুজো কমিটি ট্রাস্টের নজরে আসে, ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে এবং ভুয়ো বিল ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছিল অভিযুক্ত যুবক।
স্বভাবতই মানুষ ভাবতে শুরু করেন, তাঁরা বড় মায়ের মন্দিরের উন্নয়নের জন্য অর্থদান করছেন। প্রচুর মানুষ টাকা দিয়েও ফেলেন। আচমকা গোটা বিষয়টি নজরে আসে বড় মায়ের মন্দির ট্রাস্টি কমিটির। তারা দেখতে পান, বড় মায়ের নাম করে অন্য একটি সূত্র থেকে টাকা সংগ্রহ করা হচ্ছে, যা মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত নয়। মন্দির কর্তৃপক্ষ নৈহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
শনিবার বড় মা পুজো কমিটি ট্রাস্টের পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে নৈহাটি থানার উদ্যোগে ও রিষড়া থানার সহযোগিতায় সুরজিৎ কুণ্ডু নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার পুলিশ। অভিযুক্তের কাছ থেকে বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সুরজিৎ কুণ্ডুর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বড় মায়ের মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং নৈহাটি পুলিশ সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে। মন্দিরের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের দিকে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। সমস্ত ঘোষণা ও মন্দিরের যাবতীয় কার্যক্রমের উল্লেখ থাকে সেখানে। কোনও তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে অর্থ প্রদান না করার জন্য মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে।