সেমিনার হলে ‘বহিরাগত’ প্রবেশ সম্ভব নয়

আরজি করের সেমিনার হলে ওরা কারা? ঘটনাস্থলে এতো লোক কেন? সম্প্রতি, সামাজিক মাধ্যমে এক ভাইরাল ভিডিওকে ঘিরে উঠছে এই সমস্ত প্রশ্ন। যাকে ঘিরে ফের নতুন করে দানা বাধে রহস্য। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি সুরক্ষিত ছিল না ঘটনাস্থল? লোপাট করা হয়েছিল প্রমাণ? শুধু সামাজিক মাধ্যম নয়, পাশাপাশি ভিডিওর সত্যতা যাচাই না করেই তা চালানো হয় সংবাদ মাধ্যমেও।

শুক্রবার এই নতুন বিতর্কের মধ্যেই নতুন করে ঘটনার সত্যতা তুলে ধরল কলকাতা পুলিশ। এদিন লালবাজারে ভিডিওর বিবরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে কোনও ‘বহিরাগত’ ছিল না। পাশাপাশি, পুলিশি পাহারার মধ্যে সেই সময় ঘটনাস্থলে বহিরাগতদের প্রবেশ সম্ভব নয় বলেও দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে এদিন দুটি ছবি প্রকাশ করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সকলকে চিহ্নিত করেন ডিসি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। তাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত  গোয়েল, অতিরিক্ত কমিশনার মুরলিধর শর্মা, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ওসি হোমিসাইডসহ একাধিক পুলিশ কর্মী এবং আধিকারিকদের। একই সঙ্গে দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যায় গোয়েন্দা বিভাগের অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার, ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ এবং এক তরুণী চিকিৎসককে। যিনি সুরতহাল রিপোর্টের সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঘটনাস্থলে। ছবিতে প্রকাশ পাওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশের পাশাপাশি প্রমাণ লোপাটের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হতেই প্রথমে সাদা চাদর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল সেমিনার হলের বাইরে একটি অংশ। তার পর পুলিশ গিয়ে যে স্থানে তরুণী চিকিৎসকের দেহ পড়েছিল তা সংরক্ষিত করে। ধীরে ধীরে ঘটনাস্থলে প্রবেশ করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ, ডগ স্কোয়াড, ফরেনসিক বিভাগ, ফটোগ্রাফাররা। সেই মুহূর্তের ছবি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই উঠতে থাকে একাধিক প্রশ্ন।