• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

‘আত্মশাসন’-এর মেয়াদবৃদ্ধি ১৫ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কোভিড বিধিনিষেধ

করােনার সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙতে আরও ১৬ দিন রাজ্যে বাড়ল করােনা বিধিনিষেধ। অর্থাৎ আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত রাজ্যে আগের মতাে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রইল।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ছবিঃএসএনএস)

করােনার সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙতে আরও ১৬ দিন রাজ্যে বাড়ল করােনা বিধিনিষেধ। অর্থাৎ আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত রাজ্যে আগের মতাে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রইল। তবে কিছু শিল্প ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা ঘােষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই করােনা বিধিনিষেধের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা জানালেন তিনি। মমতা এদিন বলেন, কড়া বিধিনিষেধ জারি করে করােনার সংক্রমণ কমানাে গিয়েছে। তাই এর মেয়াদ বাড়ানাে হল। এজন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।

প্রসঙ্গত, এর আগে এবছর গত ১৫ মে রাজ্যে কার্যত লকডাউন ঘােষণা করা হয়। তার ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ১৪ মে রাজ্যে সংক্রামিতের সংখ্যা ছিল ২০,৮৪৬ জন। কিন্তু কোভিড বিধিনিষেধ আরােপের পর থেকেই সংক্রার্মিতের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। গত চব্বিশ ঘন্টায় করােনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩,০৪৭ জন। বেড়েছে সুস্থতার হারও। আর ঠিক সেই কারণেই ফের কোভিড বিধিনিষেধের মেয়াদ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।

এখনকার পরিস্থিতিকে ‘লকডাউন’ না বলে ‘আত্মশাসন’ বলতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বলেন, এর আগে যেরকম বিধিনিষেধ ছিল সেগুলিই বহাল থাকবে। রাত ন’টা থেকে ভাের পাঁচটা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে থাকা যাবে না।

ট্রেন-মেট্রো-গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। বাজার মিষ্টি দোকান, শাড়ির দোকান, গয়নার দোকান যেরকম সময়সূচি মেনে খুলছিল, সেভাবেই তবে খুলবে। তবে এদিন পাট শিল্প এবং নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, পাঞ্জাব থেকে আমাদের রাজ্যের কাছে পাটের বিভিন্ন সামগ্রী চাওয়া হচ্ছে। তারা বারবার অনুরােধ করছে। তাই পাটশিল্পের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত শতাংশ শ্রমিক নিয়ে পাটকলগুলি চলছিল।

এবার পাটশিল্পে কর্মী হাজিরা বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা ৩৫ হল। এছাড়া যে সমস্ত নির্মাণ ক্ষেত্রে মালিকদের নিজস্ব জায়গা রয়েছে, সেখানে নির্মাণকর্মীদের রেখে কাজ চলতে পারে। নির্মাণকর্মীদের টিকাকরণ করতে হবে।

প্রয়ােজনে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ওই শ্রমিকদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে ওই মালিকদেরই দায়িত্ব নিয়ে। অন্যদিকে এদিন প্রান্তিক ও দুস্থদের টিকাকরণ দ্রুত সম্পূর্ণ করতে স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমরা একটা ‘মডেল’ গড়তে চাই।

যাঁরা বাজারে বসেন, মাছ বিক্রি করেন, হকার, যৌনকর্মী-এঁদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হলে কিছুটা হলেও সংক্রমণ কমানাে সম্ভব। এদিকে চিকিৎসকরা এদিন রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।

তাদের মতে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরে লকডাউন কার্যকর হওয়ার পর থেকে করােনা গ্রাফে একটা অবনমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চিকিৎসকদের ধারণা, এইভাবে করােনা বিধিনিষেধ জারি থাকলে আগামী দুই সপ্তাহে আরও কমবে গ্রাফ।

কিন্তু এই মুহূর্তে বাজার, পরিবহণ পুরােদমে চালু করে দিলে ফের সংক্রমণ হাতের বাইরে চলে যাবে।