হাসপাতালে যাওয়ার আগেও হয়েছিল জেনারেল ডায়েরি, ঘটনা পরম্পরার বিবরণ পুলিশের

আরজি কর কাণ্ডে রাজ্যের ‘টাইমলাইন’ দেখে অবাক দেশের শীর্ষ আদালত! বৃহস্পতিবার আরজি কর মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানেই কলকাতা পুলিশের থেকে পাওয়া সমস্ত তথ্য এবং নিজেদের তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দেয় সিবিআই। এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর তদন্তের টাইমলাইন নিয়ে প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত। আদালতে পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃতদেহ দাহ হওয়ার পরে করা হয়েছে এফআইআর। পাশাপাশি, জানতে চাওয়া হয় সকাল ১০টা ১০ মিনিট থেকে রাত ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ঠিক কী কী ঘটেছিল?

কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৯ আগস্ট সকাল ১০টা দশ মিনিটে হাসপাতালে কোনও চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রথম খবর আসে। সেই মুহূর্তেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন টালা থানার অফিসাররা। সূত্রের খবর, সেই সময় করা হয় একটি জিডি। তারপর রাত ১১টা৩০মিনিটে ঘটনাস্থল থেকে ফিরে এসে করা হয় লিখিত জেনারেল ডায়েরি।

এখন প্রশ্ন, তাহলে আগে থেকে কেন করা হল না লিখিত ডায়েরি? কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শেষ হওয়ার পর যখন সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ফিরে আসেন, সেই সময়ই লিখিত ডায়েরি করা হয়। অন্যদিকে এদিন আদালত রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ঘটনা পরম্পরা অনুযায়ী সকাল ১০টা দশ মিনিট থেকে রাত ১১টা ৩০ পর্যন্ত ঠিক কী কী হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেদিন সকাল ১১টার মধ্যে ঘটনাস্থল সিল করে দেওয়া হয়। তারপর বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কলকাতা পুলিশের ফরেনসিক দল। করা হয় এলাকার থ্রিডি ম্যাপিং। যার সাহায্যে ঘটনাস্থলের পুঙ্খানুপুঙ্খ সূত্র ধরা পড়ে। তার ঠিক দশ মিনিট পর মৃত চিকিৎসককে জরুরি বিভাগে নিয়ে গিয়ে ঘোষণা করেন মেডিক্যাল অফিসার। এখানেই শেষ নয়, শুরু হয় মৃত চিকিৎসকের মেডিক্যাল রিপোর্ট এবং ডেড সার্টিফিকেট তৈরির কাজ।


সূত্রের খবর, ছাত্রদের দাবি মেনে চারটে দশ নাগাদ নিয়ে আসা হয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকেও। পাঁচটা দশ মিনিট নাগাদ শুরু হয় চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি। নিয়ে যাওয়া হয় আরজি কর হাসপাতালের মর্গে। এরই মাঝে বেলা পৌঁনে দুটো নাগাদ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে পুলিশ। সন্ধ্যে ৬টা ১০ মিনিটে ময়নাতদন্ত শুরু হয়, তা শেষ হয় সন্ধ্যে ৭টা দশ মিনিটে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ চিকিৎসকের দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। ঠিক তারপর, রাত পৌনে বারোটা নাগাদ বাড়ির লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর রুজু করে পুলিশ।