উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রের প্রত্যাশামত ফল পেয়ে উজ্জীবিত বাবুল সুপ্রিয় তোপ দাগলেন পুরাতন দল অর্থাৎ বিজেপির প্রতি নিজের পুরনো দল বিজেপি-কে তোপ বাবুল সুপ্রিয়ের। চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। তিন কেন্দ্রে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিজেপি-র। বিজেপি নেতৃত্বকে তুলোধোনা করলেন বাবুল।
টুইটে লিখলেন, ‘বিজেপি-র যা প্রাপ্য, সেটাই পেয়েছে।’ চার কেন্দ্রের মধ্যে তিন কেন্দ্রে জামানত জব্দ হয়েছে বিজেপি প্রার্থীদের। দিলীপ ঘোষ যদিও তৃণমূলের হিংসার তত্ত্বেই এখনও অনড়। তাঁর কটাক্ষ, “এর পর ভোট হলে তৃণমূল ১০০ শতাংশ ভোট পাবে!”
এই আবহে টুইট করলেন তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল। তবে রাজনৈতিক দল বিজেপি নয়, বাবুল নিশানা করলেন বিজেপি নেতৃত্বকে। তীব্র ভাষায় আক্রমণও করলেন প্রাক্তন দলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের। তবে অবশ্য কারও নাম করেন নি বাবুল।
টুইটে বাবুল চার কেন্দ্রে জয়ের জন্য প্রথমেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তার পর লিখেছেন, ‘বিজেপি-র নেতৃত্বকে বিধলেন তৃণমূল নেতা। যেটা প্রাপ্য ছিল, সেটাই পেয়েছে। দেখব, ২০২৪-এর ভোটে তৃণমূল স্তরের নিবেদিত প্রাণ কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও পিছন থেকে ছুড়ি মারা কুৎসিত, অযোগ্য নেতারা কত আসন জিততে পারেন।
তার পর আবার টুইট, ‘যে সমস্ত অনুগত কর্মী তাঁদের রক্ত-ঘাম দিয়ে দলের জন্য কাজ করে চলেছেন, তাঁদের প্রতারণা অপমান আর পিছন থেকে ছুড়ি মেরে চলেছে বিজেপি। এই দল দেশের মানুষের ভাল করবে কী করে?
নিজেই দেখে নিন, একদা দলের স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত প্রবীণ নেতারা কেন বর্তমানে দলের প্রবল সমালোচক হয়ে উঠেছেন ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার পর বিজেপি ছাড়েন বাবুল। যোগ দেন তৃণমূলে। এরপর দিল্লি গিয়ে নিজের সাংসদ পদেও ইস্তফা দিয়েছেন।
তবে বিজেপি-তে থাকতে দিলীপের সঙ্গে তাঁর ‘সু-সম্পর্ক’ ছিল আলোচনার বিষয় । একাধিক বার দিলীপের দল পরিচালন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বাবুল। উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর আরও একবার বিজেপি কর্মীদের হয়ে নেতৃত্বদের বিঁধলেন তিনি।