উপনির্বাচনে রাজ্যে ১২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় নির্বাচন কমিশন

১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে। এই ৬টি আসনের প্রত্যেকটির জন্য গড়ে ২০ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ ভোটের দিন রাজ্যে মোট ১২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। অশান্তি এড়াতে এবারও রাজ্যের প্রত্যেকটি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করার কথা ভাবছে কমিশন।

উল্লেখ্য, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালডাংরা, সিতাই এবং মাদারিহাট আসনে ১৩ তারিখ ভোট হবে। এই ৬টি কেন্দ্রে মোট ১৫৮৩টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকবে। সবথেকে বেশি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকবে মেদিনীপুরে। এই আসনে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৩০৪। এছাড়াও সিতাইয়ে ৩০০টি, মাদারিহাটে ২২৬টি, নৈহাটিতে ২১০টি, হাড়োয়ায় ২৭৯টি, তালডাংরায় ২৬৪টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রাখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এই ৬টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৫টি আসনই ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। একমাত্র মাদারিহাট আসনটি ছিল বিজেপির দখলে। মাদারিহাটে বিজেপির বিধায়ক ছিলেন মনোজ টিগ্গা। তিনি বর্তমানে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ। এই কারণে মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রটি ফাঁকা রয়েছে। হাড়োয়ার প্রাক্তন বিধায়ক হাজি নুরুল সদ্য প্রয়াত হয়েছে। তিনি এবার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে ভোটে জিতেছিলেন। জেতার কয়েকমাস পরেই প্রয়াত হন তিনি। নৈহাটির প্রাক্তন বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বর্তমানে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ।


ফলে নৈহাটি বিধানসভা আসনটিও ফাঁকা রয়েছে। সিতাইয়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া বর্তমানে কোচবিহারের সাংসদ। পাশাপাশি তালডাংরার প্রাক্তন বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী এখন বাঁকুড়ার সাংসদ। একই অবস্থা মেদিনীপুরেরও। জুন মালিয়া সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় বিধানসভা আসনটি ফাঁকা রয়েছে।