বাংলা থেকে বর্ষা আপাতত বিদায় নিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের আকাশ কয়েকদিন ধরেই ঝলমলে রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ডেঙ্গুর দাপট থামছে না। এবার বিধাননগরে মৃত্যু হল ডেঙ্গু আক্রান্ত এক মহিলার। ভিআইপি রোডের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর।
মৃতের নাম শিবানী দাস। বিধাননগর পুরনিগমের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। ৩১ অক্টোবর বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন শিবানী দাস। কয়েকদিন চিকিৎসা চললেও খুব একটা উন্নতি হয়নি। শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গুর উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ডেঙ্গুর উপসর্গগুলির মধ্যে অন্যতম – জ্বর, মাথা ও গায়ে প্রচন্ড ব্যথা, শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাওয়া। এখন অবশ্য পেটে ব্যথা ও ডায়েরিয়ার মতো উপসর্গও দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে। পেট খারাপ ও মৃদু জ্বরের উপসর্গ দেখলেও ডেঙ্গুর এনএস-১ কিংবা আইজিএম এলাইজা টেস্ট করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। নিজের বাড়ি এবং আশেপাশের অঞ্চল পরিষ্কার রাখলে তবেই ডেঙ্গুকে প্রতিহত করা সম্ভব হবে বলে জানাচ্ছেন তারা।
চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গুর উপসর্গের মধ্যে পেট খারাপ ও মৃদু রক্তক্ষরণ বেশ কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে। যদিও সেই সমস্ত উপসর্গের রোগী অতীতে সংখ্যায় খুব যে বেশি মিলত, তেমনটা নয়। গত বছর থেকে নতুন বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে। ডেঙ্গু ভাইরাসের মিউটেশন হচ্ছে, তা ছাড়াও এর চারটি প্রজাতি রয়েছে৷ তার একটিতে একবার আক্রান্ত হওয়ার পরে, আবার অন্য কোনও প্রজাতিতে সংক্রমিত হলে সে ক্ষেত্রে ঝুঁকিও অনেকটাই বেশি থাকে।