সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হওয়া সম্পত্তির তথ্য প্রকাশ্যে আনল ইডি

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্য যখন তোলপাড়, সেই আবহে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। ২০২১ সালে হওয়া টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এই গ্রেপ্তারির পরে তৎপর হয় কেন্দ্রীয় আর্থিক দুর্নীতি তদন্ত সংস্থা ইডি-ও। গত শুক্রবার সন্দীপ ঘোষ সহ তাঁর দুই ঘনিষ্ঠের বাড়িতে হানা দেয় ইডি আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনীর তদারকিতে তল্লাশি চলে। সেখান থেকে কী কী পাওয়া গিয়েছে, সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনল ইডি।

সন্দীপ ঘোষের নামে নথিভুক্ত রয়েছে একাধিক সম্পত্তি। বেলেঘাটায় তাঁর বাসস্থান ছাড়াও আরও দুটো ফ্ল্যাটের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে একটি ফ্ল্যাটের একতলায় সন্দীপের অফিস ছিল, আর দোতলায় তিনি সপরিবারে থাকতেন। আরেকটি তিনতলা বাড়ির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে নিউটাউন অঞ্চলে। হাতিয়ারা এলাকার নোয়াপাড়ার এই বাড়িতে সন্দীপের বাবা-মা থাকতেন। তবে বর্তমানে তা তালাবন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।

এই ফ্ল্যাট বা বাড়ি ছাড়াও সবথেকে যা নজর কেড়েছে, তা হল দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিং-২ ব্লকের নারায়ণপুর পঞ্চায়েতে ২ বিঘা জমির উপরে তৈরি একটি বিলাসবহুল বাংলো। এই বাংলোর আর্থিক মূল্য কোটি টাকার উপরে। এছাড়াও, সন্দীপ ঘোষের দামি দামি গাড়িও রয়েছে।


তদন্ত চালিয়ে সন্দীপ এবং তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতার সম্পত্তি সংক্রান্ত দলিল-দস্তাবেজ পেয়েছে ইডি। পাওয়া গিয়েছে কিছু ডিজিটাল ডিভাইসও। এত বিলাস-ব্যসনের উৎস যে আর্থিক দুর্নীতিই, এমনটাই মনে করছে ইডি ও সিবিআই।

এখনও তদন্ত চালাছে সিবিআই এবং ইডি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সন্দীপ এখন সিবিআই হেফাজতেই রয়েছেন।