অর্পিতার বন্ধ নেল পার্লারের শাটার ভাঙল ইডি

অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Photo: Kuntal Chakrabarty/IANS)

এবার ইডি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একটি নেল পার্লারের শাটার ভাঙলো। মঙ্গলবার ইডি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের তিনটি নেল পার্লারে হানা দেয়। তার মধ্যে যে নেল পার্লারের বন্ধ ছিল চাবি পাওয়া যায়নি নেল পার্লারের শাটার ভেঙে ফেলে ইডি।

এখনো পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া তত্ত্ব অনুসারে অর্পিতার ৩ টি নেল পার্লার রয়েছে। যার মধ্যে একটি বরাহনগরে। সেই পার্লারটির নাম ‘দ্য নেইল প্লেস’।

বিটি রোডের ওপরেও একটি নেল পার্লার রয়েছে। আর লেকভিউ রোডে অর্পিতার আরেকটি নেল পার্লার রয়েছে।


এদিন দুপুরে ইডির তদন্তকারীরা বিটি রোডের ওই পার্লারে হানা দেয়। ওই পার্লারটি অর্পিতা গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও খোলা ছিল।

কিন্তু দিন কয়েক ধরে সেটি বন্ধ আছে। তদন্তকারীরা ওই দোকানের শাটার ভেঙে তার ভেতরে প্রবেশ করে। বিডি সূত্রের খবর বরাহনগরের নেল পার্লারটিতে মাঝেমধ্যেই অর্পিতা যেতেন।

আরও জানা গিয়েছে ওই পার্লারগুলোর দেখভালের দায়িত্ব ছিল অর্পিতা ড্রাইভার কল্যাণ ধরের উপর। কল্যাণ ধর সম্পর্কে অর্পিতার বোনের স্বামী।

সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, অর্পিতার তিনটি ভূয়ো সংস্থার দায়িত্বও ছিল কল্যাণের উপর।

কর্পোরেট মন্ত্রকের রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড, সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড, সিমবায়োসিস মার্চেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড এই তিনটি সংস্থারই ডিরেক্টর ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আর তার সঙ্গে জয়েন ডিরেক্টর ছিলেন কল্যাণ ধর।

শুধু তাই নয় রাজডাঙাতে ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্টের অফিসের ঠিকানাও তার নামে। যে ভবনটি মূলত বিয়ে বাড়ি হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তারি সময় ইডি আধিকারিকেরা নিয়ম অনুযায়ী অর্পিতার কাছে জানতে চান সে কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চায়।

তখন অর্পিতা তার ড্রাইভার কল্যাণকেই ফোন করে। কিন্তু তিনি ফোন না ধরায় শেষমেশ অর্পিতা তার রাঁধুনিকে ফোন করে গ্রেপ্তারের কথা বলে।

ইডি সূত্রের খবর ক্লাস নাইন ফেল কল্যাণের কাজ ছিল অর্পিতার গাড়ি চালানো এবং নেইল পার্লারে প্রসাধনী ও টিস্যু পেপার বক্স পৌঁছে দেওয়া।