সিবিআই মামলায় জামিন পেয়েও লাভ হল না। জেলমুক্তির ৬ দিনের মধ্যেই ফের গ্রেপ্তার হলেন বাগদার মামা-ভাগ্নে গ্রামের বাসিন্দা চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জন। কলকাতা হাইকোর্ট ৬ দিন আগে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছিল। এবার ইডি গ্রেপ্তার করল তাঁকে। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামী সোমবার পর্যন্ত তাঁর ইডি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রুপ সি এবং নবম-দশম শ্রেণিতে নিয়োগ মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জন। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতেও তাঁর নাম জড়িয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহুদিন ধরেই উঠে এসেছিল তাঁর নাম। নিজাম প্যালেসে তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন সিবিআই অফিসাররা। কিন্তু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর না দেওয়ার কারণেই চন্দন মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে বলেছিলেন, চন্দনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তাতে জানা গিয়েছে, ওই অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকা ঢুকেছে। সেই টাকা আবার অন্য অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের আগে চন্দন সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সিবিআই-এর দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি বিক্রির পাশাপশি নিজের পরিবারের সদস্যদের চাকরিও পাইয়ে দিয়েছেন চন্দন। প্রাইমারিতে চাকরি পেয়েছেন চন্দনের মেয়ে ও ভাইজি। চন্দনের বেশ কয়েকজন আত্মীয়ও চাকরি পেয়েছেন। চন্দনের অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ১৬ কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ মিলেছিল।
গত ২০ নভেম্বর রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ন’জনের জামিন মামলার রায়দান ছিল। সেই তালিকায় ছিলেন রঞ্জনও। এর মধ্যে কৌশিক ঘোষ, শেখ আলি ইমাম, সুব্রত সামন্ত রায় এবং রঞ্জনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়। কিন্তু জামিনের শর্ত নিয়ে জটিলতার কারণে জেল থেকে ছাড়া পাননি রঞ্জন। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ইডি। আর মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয় রঞ্জনকে।