আজ অর্থাৎ রবিবার তৃণমূল সুপ্রিমাে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি জনসভা জলপাইগুড়িতে। ইতিমধ্যেই শনিবার বিকেলে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মমতা। শনিবারের কুচবিহারের শীতলকুচির ১২৬ নং বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের হাতে নিহত চারজনের পরিবারের বাড়িতে যেতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের এহেন উদ্দেশ্যপ্রণােদিতভাবে গুলি চালানাের ঘটনায় সরব হবেন মমতা বলে জানিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
কিন্তু কমিশন জানিয়েছে, শুধু শীতলকুচি নয়, আগামী ৭২ ঘণ্টা কোচবিহার জেলায় কোনও রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রবেশ কতে পারবেন না। সেই সঙ্গে পঞ্চমদফার নির্বাচনে প্রচার কাজ ৪৮ ঘণ্টার পরিবর্তে শেষ করতে হবে ৭২ ঘণ্টা আগে।
এদিকে, শনিবার শীতলকুচির ঘটনায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে যান রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাংসদ সৌগত রায় এবং রাজ্যের বিদায়ী পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি। তাঁরা নির্বাচন কমিশনের দফতরে যাওয়ার পর তৃণমূলভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
সেখানে আজ অর্থাৎ রবিবার রাজ্যব্যাপী ব্লক স্তরে প্রতিবাদ দিবস পালনের ডাক দেওয়া হয়। কালাে ব্যাজ পড়ে তৃণমূল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করবে। শীতলকুচির সাধারণ মানুষদের কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা গুলি করে মারলাে? তা নিয়ে সরব হবে তৃণমূল বলে জানিয়েছেন এই ত্রয়ী নেতা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা নিজেদের বাঁচানাের জন্য নয় পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে দাবি তৃণমূলের।
শনিবার বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রচারে মমতা বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে বিজেপি। ওরা মেরে দিয়ে বলছে নিজেদের আত্নরক্ষায় গুলি চালিয়েছি। শনিবার শিলিগুড়িতেও প্রধানমন্ত্রী শীতলকুচির ঘটনায় শােকপ্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে ঘটনার তদন্ত চেয়ে দোষীদের শাস্তি চেয়েছেন মােদি। আজ অর্থাৎ রব্বিার শীতলকুচির ঘটনায় নিহত চারজনের পািরের সাথে দেখা করে কি বার্তা দেন মমতা। তার দিকে তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতিমহল।