সদস্য সংগ্রহে রেকর্ড গড়ল সিপিএমের যুব সংগঠন ভারতীয় গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন তথা ডিওয়াইএফআই। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সদস্য সংগ্রহ শেষ হওয়ার পর দেখা যায় ৩৪ লক্ষের কিছু বেশি মানুষ সংগঠনের সদস্য হয়েছেন। জেলাগুলির তরফে রাজ্য কমিটিতে সংগৃহীত সদস্যদের তালিকা জমা পড়ে। এরপর সব জেলার সদস্য সংখ্যা যোগ করা হয়। সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সাত বছরের মধ্যে সদস্য সংগ্রহে নজির গড়ল ডিওয়াইএফআই। সদস্য সংগ্রহে রেকর্ড গড়লেও এর প্রভাব নির্বাচনে কতটা পড়বে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ডিওয়াইএফআইয়ের তরফে এবিষয়ে মুখ খোলা হয়নি। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে জানানো হবে। আমাগী ২০ জানুয়ারি প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মরণে আয়োজিত সভায় সদস্য সংগ্রহের পরিসংখ্যান ঘোষণা করবে ডিওয়াইএফআই।
ডিওয়াইএফআইয়ের সাধারণ সদস্য হতে ২ টাকা করে নেওয়া হয়। মূলত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১৮–৪০ বছর বয়সিদের সদস্য সংগঠনের সদস্য করেন নেতৃত্ব। তবে সদস্য সংগ্রহের এই প্রক্রিয়া নিয়ে দলের অন্তরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই সদস্যদের তালিকা কতটা প্রকৃত তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। এক নেতার দাবি, ধরা যাক কোনও এলাকায় ২০০ জনকে সদস্য করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের সময় সেই বুথেই এজেন্ট দিতে পারছে না দল। এক্ষেত্রে বাস্তবের সঙ্গে পরিসংখ্যানের ফারাক থেকে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে ডিওয়াইএফআইয়ের উত্থান রাজনৈতিক মহলে সকলেরই জানা। বেশ কয়েকটি বড় বড় কর্মসূচিতে এই সংগঠনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে এর প্রভাব নির্বাচনে না পড়ায় দলের অন্তরেই আক্ষেপ রয়েছে।
২০১১ সালে ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের মসনদে বসে তৃণমূল পরিচালিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এরপর থেকে সাংগঠনিকভাবে ক্রমাগত দুর্বল হতে থাকে দল। নির্বাচনেও তাঁদের ফলাফল তথৈবচ। এই আবহে সদস্য সংগ্রহে ডিওয়াইএফআইয়ের এই নজির বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।