ষষ্ঠ দফার ভােট গ্রহণ শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। তারপরেই বড় ঘােষণা করল কমিশন। বাকি দুই দফার ভােট নির্ধারিত দিনেই হবে। কিন্তু তার আগে প্রচারের জন্য কোনও রােড শাে, পদযাত্রা করা যাবে না। বড় জনসভাও করা যাবে না। ছােট সভা করা যেতে পারে।
তবে তাতে ৫০০ জনের বেশি মানুষ জমায়েত থাকতে পারবেন না। কমিশনের সচিব রাকেশ কুমার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশেষ নির্দেশ জারি করে বলেছেন, কোনও জনসভা বা পদযাত্রার আগাম অনুমতি নেওয়া হলেও তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
এদিন সন্ধ্যা সাতটা থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকরী করা হচ্ছে। শুক্রবার থেকে আর কোনও রােড শাে বা পদযাত্রা করা যাবে না। এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁর প্রতিটি নির্বাচনী সভা এবার থেকে হবে ভার্চুয়াল। করােনা হু হু করে বাড়ছে। এমনই এক পরিস্থিতির ওপর দাঁড়িয়ে আগামী দুদফার ভােট নিয়ে আজ, শুক্রবার জরুরি বৈঠকে বসছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ।
বিকেল ৪ টের সময় ভার্চুয়াল বৈঠকে বসবে কমিশন। উপস্থিত থাকবেন, রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকরা, থাকবেন সিইও। সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, এটা কি সত্যি কমিশনের ফুল বেঞ্চ।
অপরদিকে, জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জের ভােটের দিনক্ষণ পরিবর্তন করল কমিশন। প্রথমে কমিশন জানিয়েছিল, এই দুই কেন্দ্রে ভােট হবে ১৩ মে। কিন্তু ১৩ মে ঈদ পড়তে পারে, সেকথা ভেবে কংগ্রেস, তৃণমূল, এমনকি ইমাম অ্যাসােসিয়েশনও কমিশনকে ভােটের দিনক্ষণ পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিল।
সবদিক বিবেচনা করে মুর্শিদাবাদের এই দুই কেন্দ্রে আগামী ১৬ মে ভােট নেওয়া হবে বলে কমিশন জানিয়েছে। উল্লেখ্য, সামরেগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক ১৫ এপ্রিল করােনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ঠিক তার পরের দিন ১৬ এপ্রিল করােনায় মৃত্যু হয় জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর। তাদের মৃত্যুর কারণে ভােটগ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়।