ধস নামায় বিপত্তি দার্জিলিং-কালিম্পঙে, তিস্তার জলে ভয় উত্তরবঙ্গের

লাগাতার বৃষ্টি ও ধসে বিপর্যয়ের মুখে উত্তরবঙ্গ। ভারী বৃষ্টির প্রভাবে তিস্তায় বেড়েছে জল। সিকিমেও হচ্ছে বৃষ্টি। একটানা বৃষ্টি হওয়ায় ফুলে ফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী। অন্যান্য নদীর ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি একইরকম। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকে চলছে প্রচার।

উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকা, সমতল ও সিকিমে ভারী বৃষ্টি চলছে। গতকাল রাত থেকেই তিস্তায় জল বেড়েছে। আবার তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। জল ছাড়ার ঘটনায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকায় মানুষ আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। জলপাইগুড়ি পৌরসভার ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে তিস্তা পারের এলাকাবাসীদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। মালবাজারের একাধিক জায়গায় মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে। টাকিমারিতেও বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে প্রশাসন।

নন্দনপুর ও বোয়ালমারিতে পরিদর্শনে আসেন মহকুমাশাসক। জলমগ্ন এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন মহকুমাশাসকসহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। এলাকার মানুষজনদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ভারী বর্ষণের প্রভাবে পাহাড়ি এলাকায় ডুয়ার্সের একাধিক নদী ও জলাধারে জলের স্রোত বেড়ে গিয়েছে। ফলে হড়পা বানেরও আতঙ্ক রয়েছে।


বৃষ্টির জেরে পার্বত্য এলাকার বিভিন্ন অংশে নতুন করে ধস নেমেছে। কালিম্পঙ জেলার মেল্লিতে ধস নামায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাস্তা। দার্জিলিঙের চিত্রেতেও ধসের প্রভাবে ভোগান্তি মানুষজনের। ১০ নং জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকবে, এই মর্মে নির্দেশিকা দিয়ে জানাল কালিম্পং জেলা প্রশাসন। পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে ১০ নং জাতীয় সড়ক বন্ধের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গরুবাথান থেকে লাভা হয়ে যাতায়াতের বিকল্প রাস্তাটির অবস্থাও ভালো নয়।

উত্তরবঙ্গে শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে দু’এক পশলা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে কোচবিহারে। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই অতি ভারী বৃষ্টি ও প্রবল বর্ষণের প্রভাবে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় ধস নেমেছে। আরও ভূমিধস নামার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও আগামীকাল থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে, এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। সোমবার পর্যন্ত কমবে বৃষ্টি।