রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনে জোড়া রিপাের্ট জমা পড়েছে সেই রিপাের্ট দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ডা.দেবাংশী সাহাকে। কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন কাণ্ডের তদন্ত রিপাের্টে এই দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে নিয়ম ভেঙে ওই ইঞ্জেকশন তুলেছিলেন দেবাংশী সাহা।
কোনও মেডিকেল অফিসার বা হাউস স্টাফের স্বাক্ষরের ভিত্তিতে টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন দেওয়া যায় না। এই ইঞ্জেকশন নিতে গেলে সিনিয়র মেডিকেল অফিসার বা আরএমওর স্বাক্ষর দরকার হয়। সেই সঙ্গে কোন রােগীকে এই ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে ফর্মে তার নামও উল্লেখ করতে হয়।
কিন্তু কোন কিছু নিয়ম না মেনে দেবাংশী এই ইঞ্জেকশন তুলেছে। চিকিৎসক দেবাংশী তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই কথা বলেছে। তার বয়ানও নথিভুক্ত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর। রেমিডেসেভির এবং টসিলিজুমাব যথেচ্ছ ব্যবহারের উপর নির্দেশিকা জারি করে। বলা হয়েছিল এই দুটি ইঞ্জেকশন শুধু নার্সিংহােম ও কোভিড হাসপাতালকে বিক্রি করা যাবে।
দিন কয়েক আগে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে প্রায় দশ লক্ষ টাকা দামের ২৬ টি টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন। বেআইনিভাবে হাতানাের অভিযােগ ওঠে ডা.দেবাংশী সাহার বিরুদ্ধে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয় সােস্যাল মিডিয়ায়।
খােদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানান পুরাে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অভিযােগ ওঠে চিকিৎসক দেবাংশী সাহা শাসক নেতা নির্মল মাজির ঘনিষ্ট বলে পরিচিত। ঠিক কার প্রভাবে দেবাংশী এত গুলি জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন সরিয়েছিল তা খতিয়ে দেখার জন্য চিকিৎসকদের একাংশ চাপ বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যদফতরের উপর।
ফেব্রুয়ারিতে মেডিকেলের রােগী কল্যাণ সমিতি চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নির্মল মাজি। সেই ইস্তফা পত্র স্বাস্থ্যভবন চেয়ে পাঠিয়েছে। যদিও তিনি কোনওভাবেই জড়িত নন বলে সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন নির্মল।
তিনি এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমি তাে আগেই রােগী কল্যাণ সমিতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। আমিও চাই সঠিক তদন্ত হােক।”