• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

চিকিৎসা দিতে বাংলায় উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসক

চিকিৎসকদের মূল শিবিরই হয়েছে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রথমে দিনেই ২০০ জন রোগী নাম নথিভুক্ত করেন। পাশাপাশি দুটি মোবাইল টিম তৈরি করা হয়। তাঁরা গ্রামের ভিতরে গিয়ে মানুষের চিকিৎসা করেন।

উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক পদ থেকে অপসারিত হয়েছিলেন। তারপর অবশ্য তাঁর সমাজসেবামূলক কাজ থামেনি। তাই বন্যা দুর্গতদের চিকিৎসায় ডেবরায় ছুটে এলেন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ‌কাফিল খান। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার মলিহাটি অঞ্চলের জোতহাড় জ্ঞানদাময়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই চিকিৎসা শিবির আয়োজিত হয়। শুক্রবার সেখানেই হাজির হন কাফিল খান। তিনি বলেন, বন্যার জল সরে গেলে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার পাশাপাশি কান, চোখ এবং গায়ের চামড়ায় একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। সেই সব রোগ নিরাময়ে তিনি সবসময় এগিয়ে আসবেন বলে আশ্বাস দেন।

ডেবরায় বন্যার জল খানিকটা সরে গেলেও মানুষের বিপদ এখনও কাটেনি। এলাকার বাসিন্দারা জানান, লোকের বাড়িতে ত্রিপল টাঙিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। এই আবহে টাকা খরচ করে ডাক্তার দেখানো তাঁদের পক্ষে বেশ কঠিন। তাই উত্তরপ্রদেশ থেকে চিকিৎসক আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ডেবরাবাসী। মেলে বিনা পয়সায় ওষুধও।

মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক নীলরতন নাইয়া বলেন, ‘অভয়ার জন্য বিচার চেয়ে গত দেড়মাস ধরে আন্দোলন চলছে। জুনিয়র ডাক্তাররা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন। আমরা তাঁদের সহমর্মী হয়ে হাসপাতালে অতিরিক্ত সময় দিয়ে রোগী দেখেছি। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলে এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চাইছে। তাই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। পাশাপাশি বন্যায় দুর্গত মানুষের চিকিৎসা করাটাও আমাদের অবশ্য কর্তব্য বলে মনে করি’।

চিকিৎসকদের মূল শিবিরই হয়েছে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রথমে দিনেই ২০০ জন রোগী নাম নথিভুক্ত করেন। পাশাপাশি দুটি মোবাইল টিম তৈরি করা হয়। তাঁরা গ্রামের ভিতরে গিয়ে মানুষের চিকিৎসা করেন। বন্যায় বিধ্বস্তদের পাশে দাঁড়াতে চিকিৎসকদের এই উদ্যোগকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছন। পরিষেবা পেয়ে খুশি এলাকাবাসীও।