• facebook
  • twitter
Wednesday, 15 January, 2025

আরএল স্যালাইন হাতে সিআইডি আধিকারিকদের মুখোমুখি চিকিৎসকরা

মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিম্নমানের স্যালাইন ব্যবহারের অভিযোগে প্রসূতি মৃত্যু ও অসুস্থ হওয়ার ঘটনার তদন্তভার সোমবার সিআইডির হাতে তুলে দেয় রাজ্য।

প্রতীকী চিত্র

স্যালাইন–কাণ্ডে বুধবারও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন সিআইডির আধিকারিকরা। এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ হাসপাতালে প্রবেশ করেন সিআইডির দুই সদস্যের একটি দল। এরপর তাঁরা চলে যান অধ্যক্ষের ঘরে। সেখানে অধ্যক্ষ সহ অন্য চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাসের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। এছাড়াও অসুস্থ প্রসূতিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিম্নমানের স্যালাইন ব্যবহারের অভিযোগে প্রসূতি মৃত্যু ও অসুস্থ হওয়ার ঘটনার তদন্তভার সোমবার সিআইডির হাতে তুলে দেয় রাজ্য। এরপর মঙ্গলবার সকালেই হাসপাতালে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেন সিআইডি–র আধিকারিকরা। মঙ্গলবার তাঁরা যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন বুধবারও তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়। এর পাশাপাশি আরও কয়েকজনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। এদিন দেখা যায়, অধ্যক্ষের ঘরের সামনে কয়েকজন চিকিৎসক রিঙ্গার্স ল্যাকটেট (আরএল) স্যালাইনের বোতল হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিকের নেতৃত্বে সিআইডির একটি দল তদন্ত করছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যালের দুই জুনিয়র ডাক্তার, চারজন নার্স এবং সিনিয়র চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির তদন্তকারীরা। এছাড়াও মেদিনীপুর মেডিক্যালের সুপার জয়ন্ত রাউতকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্তকারীরা মঙ্গলবার বেশকিছু নথি তদন্তের স্বার্থে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালের রস্টার, লগবুক, রিঙ্গার্স ল্যাকটেটের ব্যাচ নম্বর খতিয়ে দেখেছে। বুধবার হাসপাতালে ঢুকে প্রথমেই অধ্যক্ষের ঘরে যান সিআইডি অফিসাররা। এদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি মৃত প্রসূতি মামণি রুইদাস ও অসুস্থ প্রসূতি রেখা সাউয়ের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন তদন্তকারীরা। মামণির এক আত্মীয় জানান, মাতৃমাতে তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। বাড়ির ঠিকানা ও ফোন নম্বর লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন প্রসূতি রেখা সাউয়ের স্বামী জানান, সিআইডির আধিকারিকরা তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের খোঁজ খবর নিয়েছেন। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে সিআইডি–র এক আধিকারিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিশেষ কিছু বলতে রাজি হননি। শুধু জানান, তদন্ত চলছে।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু ও চার প্রসূতির অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় নিম্নমানে স্যালাইন ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই একটি ১৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয় স্বাস্থ্য ভবন। এই কমিটির দেওয়া প্রাথমিক রিপোর্টে চিকিৎসায় গাফিলতির ইঙ্গিতও পাওয়া গিয়েছে। এরপরই এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেয় রাজ্য।