• facebook
  • twitter
Thursday, 7 November, 2024

ঝাড়গ্রামে লজ থেকে উদ্ধার চিকিৎসকের দেহ, মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা

মেসেজে ব্যক্তিগত জীবনের অস্থিরতা, স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং পুরনো স্মৃতির প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন দীপ্র। তাঁর এই মেসেজ এবং মৃত্যুর কারণ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ডাক্তার দীপ্র ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র

ঝাড়গ্রামের রঘুনাথপুরে একটি লজের ঘর থেকে উদ্ধার হল চিকিৎসকের দেহ। মৃতের নাম দীপ্র ভট্টাচার্যের (৩২)। সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে ছুটি কাটিয়ে বাড়ি থেকে লজে যান দীপ্র। এরপর থেকেই পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে লজের ঘর থেকে উদ্ধার হয় দীপ্রের দেহ। জানা গেছে, তাঁর বাড়ি কলকাতার বেহালায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যুর আগে দীপ্র তাঁর স্ত্রীকে বেশ কিছু মেসেজ পাঠান। মেসেজে অতীত জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। সেই মেসেজ ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সূত্রের খবর , মৃত্যুর আগে স্ত্রীকে পাঠানো ওই বার্তায় আরজি কর হাসপতালে কাটানো মুহূর্ত নিয়েও উল্লেখ করেন তিনি। সেই মেসেজের একটি অংশে তিনি লিখেছেন, ‘নোংরা পৃথিবী, অবিচার, নোংরামি দেখেও অন্ধ হয়ে থাকে সবাই। এভাবে কি বেঁচে থাকা যায়?’
মেসেজে ব্যক্তিগত জীবনের অস্থিরতা, স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং পুরনো স্মৃতির প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন দীপ্র। তাঁর এই মেসেজ এবং মৃত্যুর কারণ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ জানান, ‘চিকিৎসকের মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে। মেসেজটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের সুপার অনুরূপ পাখিরা জানিয়েছেন, পুজোর ছুটি শেষে কাজে যোগ দিয়েছিলেন দীপ্র। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে তিনিও অনিশ্চিত। আপাতত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও পুলিশের তদন্তের অগ্রগতির জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।