তৃণমূল শিক্ষক নেতার চাকরি বরখাস্তের নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

প্রতীকী চিত্র

বুধবার এক শিক্ষক নেতা শেখ সিরাজুল ইসলামের চাকরি বরখাস্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলায় বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, ‘হাওড়া স্কুলের শিক্ষক নেতা দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন। কোনওভাবেই চাকরিতে রাখা যায় না’। বুধবার থেকেই এই নির্দেশ কার্যকরী বলে স্পষ্ট করে দেন বিচারপতি।

সম্প্রতি হাওড়া জেলায় এক রাজনৈতিক সংগঠনের মাধ্যমিক শিক্ষাসেলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সিরাজুলকে। ২০১১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁর চাকরি গিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে সে সময়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ছিল। কিন্তু তারপরও তিনি চাকরি করে গিয়েছেন। এবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। আদালতে এই বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। গত ১৩ মার্চ হাইকোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে শুনানি চলে। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সিরাজুলকে শিক্ষা সংক্রান্ত পদে নিয়োগ করা হল, তা জানতে চায় আদালত।

কেন এফআইআর দায়ের করা হয়নি, তা নিয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর কাছে ভর্ৎসিত হয় পুলিশ। শুনানির পরই এফআইআর দায়ের হয়। কিন্তু ওই এফআইআর-এর প্রভাব যাতে চাকরিতে না পড়ে, তাই ফের ডিভিশন বেঞ্চ এর দারস্থ হন সিরাজুল। বুধবার সেই মামলার শুনানির ছিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে। বুধবার বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা গোটা মামলা শুনেই জানিয়ে দেন, ‘ওই শিক্ষকের নিয়োগই সম্পূর্ণ বেআইনি। তাই বুধবার থেকে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল’। শুধু দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়া নয়, সিরাজুলের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও শিক্ষা দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে।