সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্ট দেখে ‘বিচলিত’ সুপ্রিম কোর্ট, আপাতত প্রকাশ্যে না আনার নির্দেশ

আরজি কর কাণ্ডে সিবিআইয়ের ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ পড়ে ‘বিচলিত’ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনতে নিষেধ করল শীর্ষ আদালত। রিপোর্ট দেখে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘সিবিআই রিপোর্টে যা লিখেছে, তা খুবই উদ্বেগের।’

গতবারের শুনানিতে সিবিআইয়ের কাছ থেকে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কিত স্টেটাস রিপোর্ট চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সিবিআই আধিকারিক সত্যজিৎ সিংহ সেই রিপোর্ট আদালতে পেশ করে। যা পড়ে ‘বিচলিত’ হয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। বিচারপতিদের মতে, আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে। সিবিআই ঘুমিয়ে নেই বলেও এদিন মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘সিবিআই ঘুমিয়ে নেই। তাঁরা তদন্ত করছে। এই অবস্থায় রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে তদন্তপ্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’

আরজি কর মামলায় তদন্তের অগ্রগতি দেশে সন্তুষ্ট হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআই আধিকারিকদের প্রশংসা করছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তাঁদের কথায়, ‘আমরা তদন্ত রিপোর্ট দেখেছি। যে বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, তদন্তে সেগুলি উঠে এসেছে। ময়নাতদন্তের চালান দেওয়া হয়েছিল কি না, ময়নাতদন্তের পদ্ধতি যথাযথভাবে মানা হয়েছে কি না, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট— সব কিছু নিয়ে রিপোর্টে তথ্য দেওয়া হয়েছে।’ প্রধান বিচারপতি এদিন আরও বলেন, ‘নির্যাতিতার বাবার কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ আছে। আমরা গোপনীয়তার জন্য সেই দরখাস্ত প্রকাশ করছি না। তবে সিবিআইয়ের পক্ষে তা অত্যন্ত মূল্যবান তথ্য হতে পারে।’


আরজি কর কাণ্ডে দ্রুত তদন্ত শেষ করার দাবিতে চলছে আন্দোলন। রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু প্রধান বিচারপতির মতে, সিবিআইকে সময় বেঁধে দিয়ে তদন্ত শেষ করতে বলা ঠিক হবে না। এরকম কিছু করলে প্রকৃত উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে না। তাই তদন্ত করার জন্য সিবিআইকে সময় দিতে হবে। জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে আরও কয়েকজন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের নাম মুখবন্ধ খামে সিবিআইকে দিতে চায় জুনিয়র ডাক্তাররা।

উল্লেখ্য, রাজ্যের তরফে যে আইনজীবীরা সওয়াল করছেন তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে এদিন সুপ্রিম কোর্টে জানান কপিল সিব্বল। মহিলা আইনজীবীদের ধর্ষণ, অ্যাসিড মারার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এদিন সিব্বল স্পষ্ট করে দেন যে তাঁরা অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবী নন।