অনুমান আগেই ছিল। সেই মত দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে দেশ জোড়া লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে মে মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর এদিনের ভাষণের পরেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সল্টলেকে নিজের বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, এইরাজ্যে কতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, কতজন মারা গেছেন এবং কতজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তার সঠিক তথ্য রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হচ্ছে না।
একদিকে যখন কেন্দ্র বলছে যে পশ্চিমবঙ্গে ১৫২ জন করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে, সেখানে রাজ্য সরকার বলছে ১১০ জন। তাঁর মনে হয় এই সংখ্যাটা এক হওয়া উচিত এবং আসল সত্য সামনে আসা উচিত।
তিনি এদিন আরও দাবি করেন যে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্য সরকারকে সাড়ে ৪২ হাজার করোনা টেস্ট কিট প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে এখনো পর্যন্ত মাত্র ৩০০০ টেস্ট কিট ব্যবহার করা হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। টেস্ট কিট থাকা সত্ত্বেও কেন বেশি করে টেস্ট করা হচ্ছে না এটাও একটা বড় প্রশ্ন বলে তিনি জানান।
দিলীপ ঘোষের আরও অভিযোগ, এই সংকটময় পরিস্থিতিতেও রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে না। ডাক্তার, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের জীবন বাঁচানোর জন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, যে পরিমাণে পিপিই পোশাক, মাস্ক ইত্যাদি দাবি করা হচ্ছে তার তুলনায় অনেক কমই পৌঁছচ্ছে হাসপাতালগুলোতে।এর ফলে অনেক জায়গায় স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্ষোভ বিক্ষোভে পরিণত হবে বলে তিনি মনে করেন।
এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, শুধুমাত্র বিজেপির নেতা কর্মীদেরই মানুষের হাতে ত্রাণ তুলে দিতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। অথচ অন্য কোন দলের তরফে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স না মেনে ত্রাণ বিলি করা হলেও তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে না। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সবার উচিত রাজনীতি না করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু তা সত্বেও এমন পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র বিজেপিকেই নিশানা করা হচ্ছে।
এদিন এখানেই ক্ষান্ত না হয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা নিয়েও সরব হয়। তিনি বলেন, একদিকে রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষনা করা হচ্ছে আগামী ছয় মাসের জন্য রেশন সামগ্রী বিনামুল্যে দেওয়া হবে। কিন্তু ছয়দিনের রেশনও পৌঁছচ্ছে না সাধারণ মানুষের কাছে। অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের কর্মীরাই রেশন দোকানে ভয় দেখিয়ে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে চলে যাচেছ। এখনো সময় আছে রাজ্য সরকারের উচিত এই রেশন ব্যবস্থাকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করার।