নিজস্ব প্রতিনিধি : চলতি বছরের রথযাত্রা উৎসব ৭ জুলাই। তবে বাংলার মানুষের কাছে এবারও অধরা থেকে যাবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। এখনও মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় এবছরও খুলছে না দিঘার জগন্নাথ মন্দির। রথযাত্রার বাকি মাত্র হাতে গোনা কয়েক দিন। তাও মন্দিরের কাজে গতি নেই কেন? এই প্রসঙ্গেই এবার ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। এরপরই তৎপর হয়েছে নবান্নের শীর্ষ মহল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে হিডকো-এর ভাইস চেয়ারম্যান-সহ উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা।
তবে কেন এই মন্দির নির্মাণের কাজে এতো দেরি? সূত্রের খবর, নির্মাণ কার্যে শ্রমিক কমে যাওয়ায় কাজের গতি কমেছে। তাই দ্রুত কাজ শেষ করতে শ্রমিকদের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত কাজে গতি আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হিডকো-এর বরাত পাওয়া সংস্থাকে। নবান্ন সূত্রে খবর, মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ না হওয়ায় রথযাত্রার দিন নয়, দুর্গাপুজো, কালীপুজো শেষ করেই হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন। ততদিন বাংলার সৈকত নগরীর অন্যতম আকর্ষণ প্রত্যক্ষ করার জন্য অপেক্ষায় দিন গুনতে হবে বাঙালিদের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পুরীর আদলে দিঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরিতে ১২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই মন্দির নির্মাণের জমি কিনেছিল রাজ্য সরকার। ২০১৮ সালে এই মন্দির তৈরির ঘোষণা করেছিল রাজ্য। এরপর গত বছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মন্দির নির্মাণ কার্যের শুভ সূচনা হয়েছিল। রাজস্থান থেকে বেলেপাথর আনা হয় এই মন্দির তৈরির জন্য। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতোই উচ্চতা হবে দিঘার মন্দিরটির। মন্দিরের পারিপার্শ্বিক নকশাও কিছুটা এক রাখা হয়েছে।
মূলত দিঘা–মন্দারমণি–তাজপুরকে নিয়ে সার্কিট ট্যুরিজম তৈরি হয়েছে। এই সব জায়গায় সমুদ্র সৈকতের আকর্ষণে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি হলে আগামীদিনে বাংলার বাইরের থেকেও প্রচুর পর্যটক দিঘায় আসবেন বলে ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের। রাজ্যের আকর্ষণ বৃদ্ধি এবং পর্যটন শিল্পকে উন্নত করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচার থেকে মমতা ঘোষণা করেছিলেন, নির্বাচন শেষে অথবা রথযাত্রার সময়েই খুলতে পারে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দরজা। জগন্নাথ মন্দিরের প্রসঙ্গে পুরীর পরেই নাম থাকবে দিঘার। কিন্তু মন্দির নির্মাণ কার্যের গতি কমে যাওয়ায় চলতি বছরের রথযাত্রায় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন সম্ভব হবেনা।