• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

কলকাতা পুরসভার বরো চেয়ারম্যান পদে ৯ টিতে দিদির মহিলা ব্রিগেড

মমতা অনেক দিন আগেই মহিলাদের প্রার্থী করেছেন অনেক বেশি সংখ্যায়। বস্তুত, সংসদেও লোকসভা ও রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদের সংখ্যা নেহাত কম নয়।

পুরভোটে জয়ের পরে কলকাতার ১৬টি বরোর চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হল বৃহস্পতিবার। দেখা গেছে, ১৬ টির মধ্যে ন’টিতেই চেয়ারম্যান করা হয়েছে মহিলাদের।

রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এর মাধ্যমে নারীশক্তির বিকাশের দিকেই বেশি জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সদ্য ফল বেরিয়েছে কলকাতা পুরভোটের। বিপুল ভোটে জিতেছে তৃণমূল।

তার পরে আজ, বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র নিবাস হলে জয়ী ১৩৪ জন কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়রের নাম ঘোষণা করলেন তিনি, ফিরহাদ হাকিম।

সেই সঙ্গে কলকাতার ১৬টি বরো কমিটির চেয়ারম্যানের নামও এদিন নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের সভায় প্রস্তাব করলেন মমতা। তা সর্বসম্মতিক্রমেও গৃহীতও হয়েছে।

এদিন চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণার পরে দেখা যায়, ১ নম্বর বরোয় তরুণ সাহা, ২-এ বিজয় উপাধ্যায়ের জায়গায় হচ্ছেন শুক্লা ভোর, ৩-এ অনিন্দ্যকিশোর রাউত, ৪-এ সাধনা বসু, ৫-এ রেহানা খাতুন, ৬-এ সানা আহমেদ, ৭-এ সুস্মিতা ভট্টাচার্য, ৮-এ চৈতালি চট্টোপাধ্যায়, ৯ এ দেবলীনা, ১০-এ জুঁই বিশ্বাস, ১১-তে তারকেশ্বর চক্রবর্তী, ১২-তে সুশান্ত ঘোষ, ১৩-তে রত্না শুর, ১৪-তে সংহিতা দাস, ১৫-তে রঞ্জিত শীল, ১৬ নম্বরে সুদীপ কোলে হবেন বরো কমিটির চেয়ারম্যান।

১৬টি বরোর মধ্যে ৯টি বরোয় মহিলা চেয়ারম্যান করার বিষয়টি আলাদা করে নজর কাড়লেও, তৃণমূল সূত্রের দাবি, এটা বিস্ময়জনক কিছু নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারীশক্তির বিকাশ নিয়ে প্রথম থেকেই সক্রিয়।

মমতা অনেক দিন আগেই মহিলাদের প্রার্থী করেছেন অনেক বেশি সংখ্যায়। বস্তুত, সংসদেও লোকসভা ও রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদের সংখ্যা নেহাত কম নয়।

মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, কাকলি ঘোষদস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার, প্রতিমা মণ্ডল, মহুয়া মৈত্র, মালা রায়-সহ এ তালিকা বেশ দীর্ঘ। শুধু তাই নয়। বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই মমতা বেশ জোর দিয়ে এসেছেন নারীশক্তির উপর।

বারবার সভায় গিয়ে বলেছেন ‘মায়েরা, বোনেরা, খেলা হবে।’ বিজেপিকে প্রতিরোধ করতে হাতা, খুন্তি, বাটনা নিয়ে এগিয়ে আসার কথা বলেছেন ঘরের মেয়েদের।

মেয়েদের কথা ভেবে শুরু করেছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো নতুন প্রকল্প। এমনই পরিস্থিতিতে পুরভোটের জয়ী সদস্যদের দায়িত্ব বণ্টনেও যে মহিলারাই এগিয়ে থাকবেন, তা খুব একটা আশ্চর্যের বিষয় নয়।

এখন নাগরিক উন্নয়নের ব্যাটন হাতে জয়ী মহিলাদের দৌড় কতটা উজ্জ্বল করে তোলে শহর কলকাতার পরিকাঠামো, সেটাই দেখার।