কিছুক্ষন আগে নন্দীগ্রামে যা হল তাতে স্পষ্ট দিদি হারছেন সেটা বুঝতে পেরেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় বিজেপির নির্বাচনী জনসভায় এমন কথাই বললেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।
প্রসঙ্গত এদিন পুর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের বয়ালের একটি বুথে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযােগ করেছেন এখানে ভােটে কারচুপি হয়েছে। কিন্তু দিদি সেখানে যাওয়ার পর একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ও অন্যদিকে বিজেপি কর্মীরা জরাে হয়। ঘটনাস্থলে মুহুর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গিয়েছে প্রায় দু ঘন্টা আটক ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ওই বুথে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযােগ তােলেন তাঁদের এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভােট দিতে দিচ্ছে না। আমি চাই সবাই ভােট দিক বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর এই ঘটনা প্রসঙ্গেই এদিন হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি এই কথাগুলাে বলেন। প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, একটা কথা শােনা যাচ্ছে, দিদি নাকি আরও একটি কেন্দ্রে প্রার্থী হবার জন্য মনােনয়নের ফর্ম ভরছেন। দিদি কথাটি সত্যি নাকি? তবে তাতে লাভ হবে না। প্রথমে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন। সেখানকার মানুষ অপমানকে জবাব দিয়ে দিয়েছে। এবার অন্য কোথাও গেলে একইরকম জবাব পাবেন আপনি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও জানান তৃণমূল সরকারটা ‘সিন্ডিকেটের সরকার’। দিদি সব কিছুতে শুধু বাধা দিতেই জানেন। শিল্পকে ধ্বংস করেছেন। ১০ বছর কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই সরকার চালিয়েছেন মমতা। কিন্তু একবিংশ শতকের বাংলায়, ওই সরকার চলবে না। বাংলার দরকার এক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সরকার, যারা পরিকল্পনা করে বাংলার উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করবে।
তিনি বলেন বাংলায় শিল্পের অবস্থা করুন। শিক্ষকরা আন্দোলন করছে। বিজেপি এলে বেল ইঞ্জিন সরকার হবে। বাংলায় উন্নতিসাধন হবে। এদিন হাওড়ার উলুবেড়িয়ার এই জনসভায় প্রচুর কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। সভামঞ্চে হাওড়া জেলার বিজেপি প্রার্থীর ও জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।