• facebook
  • twitter
Friday, 21 March, 2025

তৃণমূলের চাপে এপিক আলোচনায় সায় ধনখড়ের

তিন রাজ্যেই সুপরিকল্পিতভাবে ভূতুড়ে ভোটার ঢুকিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করা হয়েছে। বিজেপির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও নিশানা করেছে বিরোধী শিবির।

ফাইল চিত্র

এপিক বা সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র নিয়ে শুধু রাজনৈতিক মঞ্চে নয়, সংসদেও আওয়াজ তুলেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল সরকার। ‘ভুতুড়ে ভোটার’ নিয়ে তৃণমূল সাংসদরা লাগাতার দাবি তুলে চলেছেন যাতে সংসদে এপিক কার্ড বা সচিত্র ভোটার নিয়ে আলোচনা হয়। সেই চাপে পড়েই এবার সংসদে এপিক বা সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র নিয়ে আলোচনায় রাজি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়।

জানা গিয়েছে, তৃণমূলের তরফে লাগাতার আসতে থাকা চাপের কারণে এবার সংসদে সচিত্র ভোটার নিয়ে আলোচনায় রাজি শাসকদল। মৌখিক স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসকে জানান হয়েছে, আগামী সপ্তাহে রাজ্যসভায় এপিক নিয়ে স্বল্পমেয়াদি আলোচনা সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আলোচনার আশ্বাসন পূরণ না হলে নিজেদের দাবি আরও ব্যাপক আকারে রাখার হুমকিও দিয়ে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

তৃণমূলের তরফে জানান হয়েছে, রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্র বিষয়ক আলোচনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার তা শেষ হবে। শুক্রবার প্রাইভেট মেম্বার বিলের জন্য সময় বরাদ্দ থাকে। তাই আগামী সপ্তাহে রাজ্যসভায় এপিক নিয়ে আলোচনা হবে বলে আমাদের আশা।

উল্লেখ্য, বুধবারও তৃণমূলের পক্ষ থেকে সংসদের উভয় কক্ষে এপিক নিয়ে আলোচনার দাবিতে নোটিস দেওয়া হয়। নোটিশের পাশাপাশি রাজ্যসভায় তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এবং উপ-দলনেতা সাগরিকা ঘোষ রাজ্যসভায় তৃণমূলের তরফে ২৬৭ নম্বর নিয়মে দেওয়া নোটিসের পরিবর্তে ১৭৬ নম্বর নিয়মে স্বল্পকালীন সময়ের আলোচনায় জন্য অনুমতি দেওয়া হোক বলে দাবি করেন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় নিজের অধিকারবলে তা করতে পারেন সেকথা উল্লেখ করে অনুরোধও করেন সুখেন্দু। এই নোটিসটি পাওয়ার পর রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের মন্তব্য, ‘ভালো প্রস্তাব’। বিষয়টি চেয়ারম্যানের মনে ধরাতেই আলোচনা নিয়ে আশার আলো দেখছে তৃণমূল শিবির।

সম্প্রতি ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার নিয়ে সরব বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস। ভুয়ো ভোটারদের বাংলায় ‘অনুপ্রবেশ’ নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে তারা। তৃণমূলের অভিযোজ্যের তির গেরুয়া শিবিরের দিকে। তাঁদের অভিযোগ, লোকসভার পর হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। অথচ বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে লোকসভায় মহারাষ্ট্রে ভরাডুবি হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের। হরিয়ানাতেও ফলাফল আশানুরূপ হয়নি।

তিন রাজ্যেই সুপরিকল্পিতভাবে ভূতুড়ে ভোটার ঢুকিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করা হয়েছে। বিজেপির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও নিশানা করেছে বিরোধী শিবির। ২০২৬ এর নির্বাচনের আগেও বিজেপি একই পন্থা নিয়েছে বাংলায়। সম্প্রতি এমনটা দাবি করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার অভিযোগ, দিল্লি, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের ধাঁচে ছাব্বিশের ভোটের আগে বাংলাতেও ভুয়ো ভোটার ঢোকানোর ছক কষা হচ্ছে। এই নিয়ে সংসদের আলোচনার দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই সরব ছিল তৃণমূল। অবশেষে সেই আলোচনার আশ্বাস মিলল।

News Hub