মহালয়ার পুণ্যলগ্নে নিরাপত্তা পরিদর্শনে গিয়ে তর্পণ সারলেন ডিজি রাজীব কুমার

দেবীপক্ষের সূচনায় বুধবার সকাল থেকেই কলকাতা, হাওড়া ও অন্যান্য জেলার বিভিন্ন ঘাটে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে এবছরের তর্পণের ঘাটে উঠে এসেছে এক অন্য চিত্র। দিকে দিকে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গণতর্পনে সামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ। এদিন হাওড়ার গঙ্গার ঘাটগুলির নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের পর রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালক রাজীব কুমার নিজেও তর্পণ করেন। হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠীর সঙ্গে লঞ্চে চেপে রামকৃষ্ণপুর ঘাট, তেলকল ঘাট এবং জেটিয়া ঘাটের নিরাপত্তা পরিদর্শনের পর রাজীব পুনরায় রামকৃষ্ণপুর ঘাটে ফিরে আসেন। তার তর্পণের জন্য হাওড়া সিটি পুলিশের কর্মকর্তারা এক পুরোহিতকে নিয়ে আসেন। পুরোহিতের সঙ্গে গঙ্গায় নেমে পূর্বপুরুষদের মঙ্গলের জন্য তর্পণ সম্পন্ন করেন রাজীব কুমার।

অন্যদিকে, মহালয়ার পুণ্যলগ্নে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ধর্ষিত ও নিহত চিকিৎসকের উদ্দেশে তর্পণ করেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। অন্যদিকে, দামোদর নদীর বিসর্জন ঘাটে তর্পণ করেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। তিনি বলেন, ‘আরজি করের জঘন্য ঘটনার দোষীদের শাস্তির জন্য দেবী দুর্গার কাছে প্রার্থনা করছি।’

হাওড়ার গঙ্গার ঘাটগুলির নিরাপত্তার জন্য হাওড়া সিটি পুলিশ ড্রোন, স্পিডবোট এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর টহল ব্যবস্থা নিয়েছিল। যখন রাজীব তর্পণ করছিলেন, তখন তাঁকে ঘিরে ছিলেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা এবং উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনারও। তর্পণ শেষে সকাল ১১টা ১০ মিনিটে তিনি লঞ্চে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন।


উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রায় তিন মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজীবকে ডিজি পদে নিয়োগ করেন। ভোট ঘোষণার পর তাঁকে এই পদ থেকে সরিয়ে কমিশন তাকে অন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। ভোটপর্ব শেষে, জুলাই মাসে পুনরায় রাজ্যের ডিজি পদে ফিরে আসেন ১৯৮৯ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসার।