ধর্মভিত্তিক রাজনীতি থেকে বেরোতে হবে : দেব

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অভিনেতা দীপক অধিকারী ওরফে দেব (Photo: Indrajit Roy/IANS)

রবিবার দাসপুর -১ ও ২ ব্লকে ১০টি সভা করলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব ওরফে দীপক অধিকারী।তিনি দাসপুরের বাসুদেবপুর,সাগরপুর,শ্যামসুন্দরপুর,রাজনগর,গৌরা, পাইকান,বােয়ালিয়া,নন্দনপুর,সরবেড়িয়া,গােবিন্দপুর-এই ১০ জায়গায় সভা করেন।প্রচণ্ড গরমকে উপেক্ষা করেই সভাগুলিতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতাে।ঘাটাল লােকসভার অন্তর্গত শিক্ষক ও শিক্ষকর্মীদের নিয়েও একটি সভা করেন দেব।সঙ্গে ছিলেন ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই,দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভূইঁয়া,দিলীপ মাঝি প্রমুখ।

তিনি বরাবরই কুৎসা,অপপ্রচার ও ব্যক্তি আক্রমণের পথ থেকে দূরে থেকেছেন।অন্য কাউকে ছােট করে নিজে বড় হওয়া যায় না।কারও গায়ে কাদা ছুঁড়লে নিজে পরিষ্কার থাকা যায় না।বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন,আজকের রাজনীতি হয়ে গেছে ভােট দিলে রামমন্দির দেওয়া হবে।আপনারা হিন্দু হলে এই দলকে ভােট দেবেন।মুসলিম হলে ওই দলকে ভােট দেবেন।আজকের রাজনীতি হয়ে গেছে জওয়ানদের নিয়ে যা সত্যিই লজ্জাকর।কিন্তু গরিব মানুষদের নিয়ে কেউ ভাবছে না।

তিনি বলেন এই ধর্মের রাজনীতি থেকে বেরােতে হবে।ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করেই ২০০ বছরের বেশি ব্রিটিশরা রাজত্ব করেছিল।ধর্ম বা জাতপাত নয়,রাজনীতি হােক উন্নয়ন নিয়ে।যাঁরা গত ৫ বছর ধরে দেশ শাসন করেছে তারা যেভাবে ধর্মের ভিত্তিতে, জাতপাতের ভিত্তিতে বিভেদের রাজনীতিকে কাজে লাগিয়ে ভােটের বৈতরণী পার হতে চাইছে তা না পসন্দ তাঁর।


তাঁর বার্তা রামমন্দিরের থেকেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান , কাসাই নদীর উপর লােয়াদা সেতু, বালিচকে রেল উড়ালপুল বেশি দরকার।সমাজের সব শ্রেণির মানুষের এতে উপকার হবে।বিজেপির দেশ শাসনের নীতির সমালােচনা তিনি বলেন,যে সরকার গরিবের মাথার ওপর ছাদ দিতে পারে না,কৃষকের ফসলের দাম দিতে পারে না,বেকারের হাত কাজ দিতে পারে না সেই সরকার থেকে লাভ কি?

দেব বলেন,দেশের মানুষ আগেই উপলব্ধি করেছে যে বিজেপির আচ্ছে দিনের শ্লোগান, নােট বন্দি,জিএসটি সকলের মুখে হাসি কেড়ে নিয়েছে।তথ্য তুলে ধরে দেব বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বাংলার প্রতিটি মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন।গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ৪০ লক্ষ মানুষকে নতুন বাড়ি দিয়েছেন।মাথায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকার দেনা নিয়েও উন্নয়নে সব রাজ্যকে ছাপিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলা।সারাদেশে যেখানে এখনও ৩ কোটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি সেখানে বাংলায় বিদ্যুৎহীন কোনও বাড়ি নেই।