আরজি কর কাণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুললেন অভিনেতা ও ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব)। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত শীঘ্রই কড়া আইন এনে এক মাসের মধ্যে ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করা।
কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগে তিনি বলেন, যারা রাতারাতি নোটবন্দি করতে পারে, রাতারাতি লকডাউন করেছিল, সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করেছিল, রাম মন্দির বানিয়েছিল – তারা কি ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের জন্য একটা নতুন আইন তাড়াতাড়ি আনতে পারে না? যদিও তিনি বলেন, তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতে চান না কোনও।
তিনি জানান, শুধুই কি আরজি কর? বিগত ১৪ বছরে ১৪০০-র বেশি ধর্ষণ হয়ে গেল, অথচ কারোর কোনও হেলদোল নেই। এত আন্দোলন হচ্ছে, তাতেও কেউ ভয় পাচ্ছে না। তাঁর মতে, ১৪ অগস্ট রাতদখলের আন্দোলন স্বাধীনতার পরে সব থেকে ভালো একটা আন্দোলন-অথচ, লাভ কিছুই হচ্ছে না, ধর্ষণ হয়েই চলেছে।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের একটাই শাস্তি হওয়া উচিত – সে বাংলায় হোক বা বাংলার বাইরে – মৃত্যুদণ্ড। আর, যারা ধর্ষককে সহায়তা করবে, সে তার বন্ধু হোক, বাড়ির লোক হোক আর প্রশাসন – তাদের যেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করা হয়। স্কুলে স্কুলে ছেলেদেরও শেখাতে হবে – কোনটা গুড টাচ, কোনটা ব্যাড টাচ। মেয়েদের সম্মান করা শেখাতে হবে।
তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে, মেয়েরা কোথাওই নিরাপদ নন – অটো, ট্রেন, রিকশা, ট্রাম, মেট্রো কোথাওই না। রাতে যে মেয়েরা কাজ করে বাড়ি ফেরেন, তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে, এবং তার জন্য ভারত সরকারের কাছে তাঁর একটাই আবেদন – যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইন প্রণয়ন করে ধর্ষকদের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করা – নইলে তো তারা ভয়ই পাচ্ছে না!
বার বার মৃত্যুদণ্ড বা ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, তাঁর কাছে এরকম বহু ভিডিও ইত্যাদি আসছে সারা দেশ থেকে। প্রত্যেকদিনে ৯০-১০০টা ধর্ষণের ঘটনা নথিবদ্ধ হয় – অথচ আসল সংখ্যাটা তার চেয়ে অনেক বেশি। তাঁর মতে, এটা আটকাতে একটাই কড়া দাওয়াই, আর তা হল মৃত্যুদণ্ড।