মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করার পরেই দেউচা পাঁচামির কাজ নিয়ে তৎপরতা শুরু করল প্রশাসন। এই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ আধিকারিক সহ জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে শুক্রবার বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। বৈঠক শেষে মুখ্যসচিব জানান, আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে উপরের অংশের মাইনিং শুরু হবে।
শুক্রবার বেলা বারোটা নাগাদ বোলপুর স্টেশনে নামেন মুখ্যসচিব ও ডিজি। এরপরই সেখান থেকে তাঁরা মহম্মদবাজার বিডিও অফিসের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানেই একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন তাঁরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায়, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ ও স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা। এরপর স্থানীয় আদিবাসী নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক সারেন তাঁরা। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যসচিব বলেন, ‘এটা আমাদের স্বপ্নের প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো আজ আমরা বৈঠক করেছি। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে উপরের অংশের মাইনিং শুরু হবে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে আন্ডারগ্রাউন্ড মাইনিংয়ের টেন্ডারের কাজ শুরু হয়ে যাবে। এখানে ২.১ বিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা রয়েছে বলে অনুমান। প্রকল্প শুরু হলে অনেক কর্মসংস্থান হবে। বৈঠকে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।’
মুখ্যসচিব আরও জানান, এখনও পর্যন্ত প্রচুর মানুষ কয়লা শিল্পের জন্য সরকারকে জমি দিয়েছে। এই শিল্প নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জমিদাতা পরিবারদের জন্য যে আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন তাতে এলাকার মানুষ সন্তুষ্ট। শীঘ্রই ৩২৬ একর জমিতে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে দেউচা পাঁচামি প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই শুক্রবার সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘দেউচা পাঁচামিতে কে কী করছে জানি, বীরভূম নিয়ে আগে খুশি ছিলাম, এখন নই। সাতদিন সময় দিচ্ছি। সব সমাধান করো।’ বীরভূম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করার পর দেউচা পাঁচামি নিয়ে বৈঠক করতে বীরভূমে এলেন মুখ্যসচিব ও ডিজি।