• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 October, 2024

পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করলে ভাল হয়, পর্যবেক্ষণ আদালতের 

কলকাতা, ১২ জুন – পঞ্চায়েত মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পক্ষে গেল আদালতের পর্যবেক্ষণ। সোমবার এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ বলে, ‘আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের কথা ভাবছি না। আমাদের চিন্তার বিষয় ভোটারদের নিরাপত্তা। তাঁরা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেটাই আমাদের দেখার বিষয়।’ শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘হনুমান জয়ন্তীর সময়

কলকাতা হাইকোর্ট (File Photo: iStock)

কলকাতা, ১২ জুন – পঞ্চায়েত মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পক্ষে গেল আদালতের পর্যবেক্ষণ। সোমবার এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ বলে, ‘আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের কথা ভাবছি না। আমাদের চিন্তার বিষয় ভোটারদের নিরাপত্তা। তাঁরা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেটাই আমাদের দেখার বিষয়।’ শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘হনুমান জয়ন্তীর সময় হাই কোর্টের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়েছিল। এতে সাধারণ মানুষের মনোবল বেড়েছিল। সেই সময় রাজ্য সরকারকে সাহায্য করতেই এসেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর এখন পঞ্চায়েত ভোটের ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রায় ১০টি জেলাকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে। তাহলে প্রয়োজনে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যেতে পারে। রাজ্য নিজের মতোই বাহিনী মোতায়েন করতে পারবে। এই নিয়ে কমিশন ভাবুক।’ 

পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে হাইকোর্টে বিরোধীদের তরফে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। একটি দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অন্যটি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কমিশনের ভাবনায় রয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য বিহার ও ওড়িশা থেকে পুলিশ এনে ভোট করানোর। আবার আদালত এও বলে দিয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের কোনওভাবেই নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। তা সত্ত্বেও বেশ কিছু জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের মনোনয়ন সামাল দিতে দেখা গেছে। পুলিশের সঙ্গে তাঁরাও লাঠি উঁচিয়ে ছুটছেন সেই দৃশ্যও ভাইরাল হয়।

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন ছিল হিংসাত্মক। ২০২৩ সালেও নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই শুরু হয়ে হয়েছে হিংসা, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তি গোলমালের খবরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই বাংলা জুড়ে অশান্তির ছবি অব্যাহত। সোমবার তৃতীয় দিনেও বিভিন্ন জেলা থেকে অশান্তির খবর আসতে শুরু করে। রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু, গুলি, রক্ত ঝরছে। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মী খুন,  দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল কর্মী। বিদ্যুৎ ঘোষ নামে এক সরকারি কর্মচারীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এদিকে ডোমকলেও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে যার জেরে গ্রেফতার করা হয় ১৭ জনকে। বিরোধীদের প্রশ্ন, ৫০ হাজার পুলিশ ফোর্স দিয়ে কীভাবে ৬১ হাজারের বেশি বুথে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব ? এই আবহে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে উচ্চ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধীরা। সেই মামলার প্রেক্ষিতে হাই কোর্ট কোনও নির্দেশ না দিলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে মত দিয়েছে।

সোমবার দুপুর পৌনে দু’টো নাগাদ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পঞ্চায়েত মামলার প্রথমার্ধের শুনানি শেষ হয়। আড়াইটের সময়ে ফের কোর্ট বসবে। এখন দেখার শুনানি শেষে কী রায় দেয় হাইকোর্ট।