• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের মৃত্যু

রক্ত পরীক্ষা করা হলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে । তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । চিকিৎসা শুরু হওয়ার প্রায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তার মৃত্যু হয়।

মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃত প্রবীর দাস (৫৪) লালগোলা থানার সাহাবাদ এলাকার বাসিন্দা।গত ১৯ জুন সে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

তারপর সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল। বুধবার গভীর রাতে হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়।এদিকে জেলায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যুর পরেই তড়িঘড়ি একটি বৈঠক করা হয় হাসপাতালে।

সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। প্রয়োজনীয় কিছু নির্দেশ দেন তারা। কিছু নির্দেশ পাঠানো হয় জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আগে ধুলিয়ানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রবীরবাবু। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।

প্রচণ্ড জ্বরের সঙ্গে গা-হাত-পা ব্যথা। প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু সেই চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে, পরিবারের লোকেরা তাকে আশাদীপ নামে রঘুনাথগঞ্জের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করে।

সেখানে তার রক্ত পরীক্ষা করা হলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে । সেদিনই সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । এখানে চিকিৎসা শুরু হওয়ার প্রায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তার মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলায়। মুর্শিদাবাদ মেডিকাল কলেজ হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা . অমিয়কুমার বেরা বলেন, ‘খুব দুভাগার্জনক ঘটনা।

কোভিডের পরে এই প্রথম ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। হাসপাতালে ভর্তির সময়ই রোগীর অবস্থা ভালো ছিল না। সেটা তার বাড়ির লোকেদের বলা হয়েছিল।

তবুও চিকিৎসকরা প্রথম থেকেই সজাগ ছিলেন।সেকারণে তার যথাযথ চিকিৎসা হয়। তাকে প্লেটলেটও দেওয়া হয়। সিসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ভীষণভাবে চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারলেন না।ডেঙ্গুর সমস্ত চিকিৎসা মুর্শিদাবাদ মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।জেলার মানুষকে বলব, কারও জ্বর হলে তাড়াতাড়ি কাছাকাছি হাসপাতালে গিয়ে রাজ্য সরকার নির্দেশিত যথাযথ পরীক্ষাগুলো করলে , অনেক সুবিধা হবে । রোগীকে ফেলে রাখা যাবে না । দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে ।