পুজোর আগেই চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি

হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। পুজো এল বলে। তার আগেই টানা বৃষ্টিতে ভাসছে বাংলা। বানভাসি একাধিক জেলা। জল বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে জলবাহিত রোগও। চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। ধূপগুড়িতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। নতুন করে তিন জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ধূপগুড়ি হাসপাতালে। ফলে পুজোর আগে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে জেলা প্রশাসনের।

জানা গিয়েছে, নিরঞ্জন পাঠ, মল্লিকপাড়া এবং ডাউকিমারি এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। একাধিক ব্যক্তি ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। তাঁদরে মধ্যে অধিকাংশের পরীক্ষা করেই রক্তে ডেঙ্গির উপস্থিতি মিলেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কারও মত্যুর খবর মেলেনি। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ডেঙ্গি আক্রান্তরা প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছেন। হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

নিরঞ্জন পাঠ এলাকার বাসিন্দা জবা রায়, পশ্চিম মল্লিক পাড়ার গৌতম রায় এবং ডাউকিমারির নন্দখালি পাড়া এলাকার বাসিন্দা জীবন সরকার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। তাঁদের চিকিৎসা চলছে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে। স্থানীয় সূত্রের খবর, শুধুমাত্র ধূপগুড়ি পৌর এলাকাতেই ইতিমধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়েছে। পুজোর আগে যে হারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্য দফতরের কপালে। পাশাপাশি চিন্তা বাড়ছে পৌরসভারও। বেশ কয়েকজন ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে বাড়িতেও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।


ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ধূপগুড়ি হাসপাতালের চিকিৎসক প্রণয় দাসও। তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ৩ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে তাঁরা প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছেন’।

প্রত্যেক বছরই বর্ষার মাঝামাঝি সময় থেকেই ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে প্রায় সব জেলায়। বাদ যায় না শহর কলকাতাও। পৌর প্রশাসনের তরফে এলাকা পরিষ্কার রাখা, কোথাও যেন জল না জমে থাকে সেদিকে কড়া নজর রাখা, কোণায় কোণায় ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো, মশার ওষুধ দেওয়া সহ একাধিক পদক্ষেপ করা হয়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রশাসনের তরফে বারবার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। মানুষকে সচেতন হতে হবে। তবেই ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। বার্তা প্রশাসনের।