• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সুরমায় বিজেপিকে হারান, পেট্রল-ডিজেলের দাম কমে যাবে কথা দিচ্ছি: অভিষেক

বিরোধী ভোট একজোট রাখার আবেদন জানিয়ে বলেন, তৃণমূল বাদে অন্য দলকে ভোট দিলে তা আদপে বিজেপিরই সুবিধা করে দেবে। জুনের শেষে ত্রিপুরার চার আসনে উপনির্বাচন।

কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিতর্কিত মন্তব্যের নিন্দা

সুরমায় বিজেপিকে হারান, কথা দিচ্ছি ফের পেট্রল-ডিজেলের দাম কমবে। বাংলায় হারিয়েছিলাম, পেট্রল-ডিজেলের দাম কমেছে ত্রিপুরা বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে একথা বললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

পাশাপাশি বিরোধী ভোট একজোট রাখার আবেদন জানিয়ে বলেন, তৃণমূল বাদে অন্য দলকে ভোট দিলে তা আদপে বিজেপিরই সুবিধা করে দেবে। জুনের শেষে ত্রিপুরার চার আসনে উপনির্বাচন।

ইতিমধ্যে সে প্রচার সারলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সুরমায় জনসভা করলেন অভিষেক । জনসভা থেকেই বিজেপিকে তুলোধোনা করেন তিনি।

বললেন, একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যাই চোখে চোখ রেখে লড়াই করছেন। তৃণমূলকে ধমকে চমকে লাভ নেই। ত্রিপুরার ডাকল ইঞ্জিন সরকারকে ডাবল চোরের সরকার বলেও কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, দিল্লিতেও ওরা চুরি করছে, ত্রিপুরাতেও করছে।

রাস্তা বানাতে গিয়ে লক্ষ-লক্ষ টাকা তছরুপ করছে। একইসঙ্গে বিজেপি ভয় পেয়েছে বলেও তোপ দাগলেন তিনি।

অভিষেকের কথায়, তৃণমূল ত্রিপুরাতে আসতেই বিজেপি ভয় তৈরি পেয়েছে। ওদের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তৃণমূল আসার পর বিরোধীরা রাস্তায় বেরচ্ছে।

বিরোধী রাজনীতি কী, তা তৃণমূল বুঝিয়ে দিয়েছে। অভিষেক অভিযোগ, একশো মিটার রাস্তা করতে কোটি কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে।

বাংলার ব্লকে ব্লকে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল রয়েছে ত্রিপুরায় তা হয়নি। কেন হয়নি জানতে চান বিজেপি নেতার কাছে।

ত্রিপুরায় তৃণমূল সরকার গড়লে লক্ষ্মীর ভান্ডার গড়ার আশ্বাসও দিলেন তিনি একইসঙ্গে ত্রিপুরাবাসীর কাছে অভিষেকের আবেদন, ২০২৩ সালের ৬০টি আসনের মধ্যে বিজেপি যাতে ছ’টা আসনও না পায়, সেটা আপনারা নিশ্চিত করুন।

অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্যের বিরোধিতায় সুর চড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বিরোধিতা করেন। তাঁকে দেশছাড়া করার দাবি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।

আগরতলার সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মোদিজি বলাকোটকে সামনে রেখে ভোটে লড়েছিলেন।

তারপরই বলছেন অগ্নিবীরদের চার বছর পর চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। তারপর পার্টি অফিসে দারোয়ান হিসাবে কাজ করবে। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছেলে মন্ত্রী হবেন। ব্যাট দিয়ে আমলা পেটাবে।

আর সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের ছেলের স্বপ্ন দেখার অধিকার নেই? দেশ সেবা করার অধিকার নেই? অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। নিন্দা করার ভাষা নেই।

বিজেপির যদি সেনার প্রতি সম্মান থাকে, ভালবাসা থাকে তবে অবিলম্বে এসব নেতাদের বহিষ্কার করা উচিত। বিজেপির বোধোদয় হলে তাঁর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া উচিত। বোঁটিয়ে তাদের ভারতবর্ষ থেকে তাড়ানো উচিত।

উল্লেখ্য, অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে সেনায় নিয়োগ করলে চাকরিপ্রার্থীদের কাজের নিশ্চয়তা থাকবে কি না, সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হয় কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে।

উত্তরে তিনি বলেন, অগ্নিবীররা বিশেষ প্রশিক্ষণ পাবেন। চার বছর চাকরি করে বেরনোর পরে ১১ লক্ষ টাকাও পাবেন। এছাড়া সারাজীকা অগ্নিবীর হিসাবে নিজের পরিচয় দিতে পারবেন।

যদি বিজেপির অফিসে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করতে হয়, তাহলে অগ্নিবীরদেরই আগে সুযোগ দেওয়া হবে। তার এই মন্তব্যের পরই ওঠে সমালোচনার ঝড়।