পিছিয়ে গেল প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি

ফাইল চিত্র।

বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। এইদিন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না দুটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে? নাকি বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের চিহ্নিত করে তাঁদের চাকরি বাতিল হবে? এই দুটি বিষয় আদালত বিবেচনা করে দেখবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, ‘পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে, নাকি বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের বাছাই করে বাতিল করা হবে, এই দু’টি মূল বিষয় আদালত বিবেচনা করবে।’ দ্বিতীয়ার্ধে মেনশন পর্বে প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট বলেন, ‘অন্য কোনও বিষয় বলে, এই মামলাকে অহেতুক জটিল করে তুলবেন না।

আগামী সপ্তাহে বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি রয়েছে। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ‘টপ অফ দ‍্য বোর্ডে’ থাকবে এই মামলা। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে বেশ কিছু ওএমআর শিট উদ্ধার করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। কিন্তু সেই ওএমআর শিটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিহারাদের আইনজীবী। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি অবশ্য জানিয়েছেন, ‘এই বিষয়টি গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা নেই। হাইকোর্টে বিষয়টি বলা হয়েছিল। হাইকোর্ট বিবেচনা করেই রায় দিয়েছে’। সেইসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন , ‘অত্যন্ত লিমিটেড ইস্যু। তা নিয়েই শুনানি হবে।’


প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, পরবর্তী শুনানিতে মামলার সঙ্গে যুক্ত সকল পক্ষকে উপস্থিত থেকে বক্তব্য জানাতে হবে। গত এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়ের জেরে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিমকোর্টে যায় রাজ্য। সেখানে রাজ্য ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদও মামলা দায়ের করে। শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিহারাদের একাংশও।