বিশ্বের দরবারে প্রথম তিনে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা 

দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানার মুকুটে উঠল সেরার শিরোপা। রেড পান্ডা সংরক্ষণ প্রকল্পের জন্য বিশ্বের দরবারে সেরা হিসেবে গণ্য হয়েছে পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্ক তথা দার্জিলিং চিড়িয়াখানা। বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী রেড পান্ডার সংরক্ষণ ও প্রজননের জন্য এই শিরোপা উঠেছে শৈলরানীর মুকুটে। ওয়াজা কনজারভেশন অ্যাওয়ার্ড-এর প্রকাশিত তালিকায় প্রথম তিনে স্থান পেয়েছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা। এই বিষয়ে রাজ্য জু-অথরিটির সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরি বলেন, ‘এই খবর আমাদের কাছে খুবই আনন্দের। আমরা গর্বিত। গোটা বিশ্বের কয়েক হাজার চিড়িয়াখানার মধ্যে শীর্ষ স্থানাধিকারী তিনটির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা। রেড পান্ডা সংরক্ষণ ও প্রজননে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে।’

 
আগামী ৭ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ট্যারোঙ্গা চিড়িয়াখানায় আয়োজিত ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ জু’স অ্যান্ড অ্যাকোরিয়ামের ৭৯তম বার্ষিক সম্মেলনে চূড়ান্ত স্থানাধিকারীদের নাম ঘোষণা করা হবে। বিশ্বে ‘কনজারভেশন অ্যান্ড ব্রিডিং’ প্রকল্পে দার্জিলিং চিড়িয়াখানার রেড পান্ডা সংরক্ষণ সংক্রান্ত গবেষণা এবং কাজ দারুন সাড়া ফেলে দেয়। ফলে প্রথম তিন চূড়ান্ত স্থানাধিকারীদের মধ্যে স্থান করে নেওয়া দার্জিলিং চিড়িয়াখানার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রক, রাজ্য বনদপ্তর, রাজ্য জু এবং পার্ক কর্তৃপক্ষ। দার্জিলিং চিড়িয়াখানার অধিকর্তা বাসবরাজ হোলেইয়াচি বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি।রেড পান্ডা সংরক্ষণ আমাদের প্রথম থেকেই প্রধান লক্ষ্য ছিল। এবার বিশ্বের দরবারে তা স্বীকৃতি পেল।’  
 
রাজ্য জু অথরিটির তরফে সৌরভ চৌধুরি আরও বলেন, ‘রেড পান্ডার মতো বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী সংরক্ষণের জন্য দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় তাদের ডিএনএ, টিস্যু সংরক্ষণ করতে বায়ো ব্যাঙ্কিং গবেষণাগার তৈরী করা হয়েছে। বনদপ্তরের নজরদারিতে সিঙ্গালিলা অভয়ারণ্যে প্রজননের উদ্দেশ্যে রেড পান্ডা ছাড়া হয়েছে। স্বাভাবিক বন্যা পরিবেশে তারা বড় হচ্ছে।’ 
 
বর্তমানে দার্জিলিং চিড়িয়াখানার অধীন তোপকেদাড়ায় রেড পান্ডা প্রজনন কেন্দ্রে পান্ডার সংখ্যা ১৯। এছাড়া সিঙ্গালিলা জাতীয় অভয়ারণ্যে ছাড়া হয়েছে ৯টি। সেখানে ৫টি শাবকের জন্ম হয়েছে।