দানার ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শুরু, প্রভাব পশ্চিমবঙ্গেও

ঘূর্ণিঝড় দানার ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১২ মিনিটে দানার ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মাঝের অংশ ছুঁয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে সামনে অংশ। আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এই ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলবে। দানার প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দীঘায় দানার প্রভাবে প্রবল বেগে হাওয়া বইছে। মাঝেমধ্যে তুমুল বৃষ্টিও হচ্ছে। গার্ডওয়াল ছাপিয়ে জল উঠে আসছে রাস্তায়। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়াও।

ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে ওড়িশার উপকূলীয় জেলা ভদ্রক, কেন্দ্রাপাড়া, বালাসোর এবং জগৎসিংপুর জেলায় বাতাসের গতিবেগ হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১০০ কিলোমিটার থেকে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বেগে হাওয়া বইছে এবং অত্যন্ত ভারী বৃষ্টি হয়েছে।


রাজস্ব বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিশেষ ত্রাণ কমিশনারের অফিসেও গাছ উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ভুবনেশ্বরের আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্রের সিনিয়র বিজ্ঞানী উমাশঙ্কর দাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিস্টেমের কেন্দ্র যখন স্থলভাগে পৌঁছয়, তখন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিমি পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। আবহাওয়া ব্যবস্থার ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া প্রায় চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা স্থায়ী হবে জানিয়েছেন তিনি।

নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে দানা-র গতিপ্রকৃতি এবং রাজ্যের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দানা মোকাবিলা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে পুরসভার কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মেয়র পারিষদ সদস্য দেবাশিস কুমার, সন্দীপন সাহা, পুরসভার কমিশনার ধবল জৈন সহ একাধিক আধিকারিকরা।