উপকূল থেকে মাত্র ২৫০ কিলোমিটার দূরে ‘দানা’, শুরু ঝড়-বৃষ্টি

পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে মাত্র ৩৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানা। গত ৬ ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে উপকূলের দিকে এগিয়েছে দানা। আলিপুর আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস, আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আগামী কাল শুক্রবার সকালের মধ্যে উপকূলে আছড়ে পড়বে দানা। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে এর দূরত্ব ২৬০ কিলোমিটার এবং ধামারা থেকে এর দূরত্ব ২৯০ কিলোমিটার।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, দানা ক্রমেই উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। ওড়িশার পুরী এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যে ভিতরকণিকা ও ধামারা লাগোয়া এলাকায় এটি ল্যান্ড ফল হবে। ল্যান্ডফলের সময় হাওয়ার গতিবেগ ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকবে।

দানার প্রভাবে আজ বজ্র্যবিদ্যুৎ সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাযগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।


২৫ তারিখ, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ইতিমধ্যেই দিঘা, মন্দারমনি, বকখালি সহ পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সমুদ্রসৈকত খালি করে দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে আগামী কালও বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায়। ২৬ তারিখ, শনিবার বিকেল থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে।

পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলাকে আলাদা ভাবে সতর্ক করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। জেলাগুলি হল – উত্তর ২৪ পরগনা, ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা এবং বাঁকুড়া। ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি এবং হাওয়ার দাপটে এই সমস্ত জেলায় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও নদীর জল বসতি এলাকায় যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।