বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারার মধ্যস্থলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’, যার প্রভাব পড়ে বঙ্গেও। বঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় চলে প্রবল দুর্যোগ। সেই দুর্যোগের আবহেই ২০০ শিশুকে ভূমিষ্ঠ করে নজির গড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক সরকারি হাসপাতাল।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র আগমনকে ঘিরে বুধবার থেকেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের পক্ষ থেকে জারি করা হয় সতর্কতা। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে আনা হয় বাসিন্দাদের। দীঘা উপকূল থেকে পর্যটকদেরও সরিয়ে দেওয়া হয়। তখনই, প্রসাসনের পক্ষ থেকে খোঁজ নেওয়া হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার কোথায় কত প্রসূতি রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রসূতিদের চিহ্নিত করে ‘দানা’ আছড়ে পড়ার আগের দিন, বুধবারের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
জেলার এক স্বাস্থ্য কর্তা জানান, দুর্যোগের সময় কোনও প্রসূতির প্রসব যন্ত্রণা উঠলে তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া কঠিন হতে পারে, এই কারণেই দুর্যোগের আগে জেলার প্রসূতিদের চিহ্নিত করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিটি পঞ্চায়েতের মাধ্যমে এলাকার প্রসূতিদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়া হয়েছিল। তারই ভিত্তিতে সম্ভাব্য মায়েদের হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ডায়মন্ডহারবার স্বাস্থ্য জেলায় ‘দানা’ দুর্যোগের দিন প্রসব হয়েছে ৯৪ জনের। এর মধ্যে ২২ জন প্রসূতির সিজার করেছেন চিকিৎসকেরা। এছাড়াও গোসাবা, কাকদ্বীপ-সহ একাদিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আরও শতাধিক শিশু ভূমিষ্ঠ হয়েছে দুর্যোগের দিনে। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিটি শিশু এবং মায়েরা সুস্থ রয়েছেন।