জামতাড়া গ্যাং রুখতে অভিযান ‘সাইবার শক্তি’

প্রতীকী ছবি

জামতাড়ার প্রতারকদের জাল এবার ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। পুলিশের দাবি, রাজ্যে বাড়ি ভাড়া করে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হচ্ছে। এবার এই সকল প্রতারকদের খোঁজে ‘সাইবার শক্তি’ অভিযান শুরু করল রাজ্য পুলিশ। সম্প্রতি প্রতারণার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া অঞ্চলগুলি থেকে ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের প্রত্যেকেই জামতাড়া গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশের।

গত এক মাসে রাজ্য পুলিশের কাছে প্রতারণার প্রায় ২৫০টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। হুগলি , পূর্ব বর্ধমানের কয়েকটি এলাকা, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতারণার অভিযোগ আসছিল। এত অভিযোগ জমা পড়ায় রাজ্য পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা শুরু করে। প্রতারকদের খোঁজে ‘সাইবার শক্তি’ অভিযান চালু করা হয়ে। শুরু হয় ধরপাকড়। মোট গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪৬ জন। তাঁদের কাছ থেকে ৮৪টি মোবাইল, ৮৪টি সিমকার্ড, দু’টি ল্যাপটপ, একশোর বেশি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ডেবিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারকরা ফিশিং (তথ্য হাতিয়ে প্রতারণা), ওটিপি জালিয়াতি, সেক্সটরশন, ভুয়ো বিনিয়োগের টোপ, গ্যাসের ভর্তুকির নামে প্রতারণা, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের টোপ-সহ আরও বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতি করেছে। এর মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়েছে। এই টাকা যাতে মানুষ ফেরত পান সেই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।


রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার জানান, জামতাড়া গ্যাং বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়-সহ পশ্চিমবঙ্গও সেই তালিকায় রয়েছে। পুলিশের নজর এড়াতে জামতাড়ার প্রতারকরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এরপরেও অভিযান জারি থাকবে বলে জানান সুপ্রতিম। তাঁর দাবি, প্রতারণার ঘটনায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রতারণার কাজের জন্য পশ্চিমাঞ্চলের ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন এলাকাগুলিকে বেছে নিয়েছিল প্রতারকরা। কারণ ঝাড়খণ্ড থেকে এই এলাকায় যাতায়াত করা খুবই সহজ।